top of page

প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই বাংলাদেশি

অবৈধ উপায়ে ভারতে ঢুকে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে বাংলাদেশিরা। মাত্র কয়েক হাজার টাকা দিলেই ওদেশ থেকে চলে আসা যাচ্ছে ভারতবর্ষে। প্রতারণা চক্রের তদন্তে নেমে এমনই তথ্য উঠে এল পুরাতন মালদায়। এই ঘটনায় ধৃত দুই বাংলাদেশিকে পুলিশি হেপাজতের আবেদনে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।


জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দুই ব্যক্তি (বাংলাদেশি) নিজেদের বর্ধমানের ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে গাজোলের এক ব্যক্তির সঙ্গে ভাব জমাতে থাকেন। বিশ্বাস করতে শুরু করলে ওই দুই ব্যক্তি নিজেদের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার কারবারের কথা জানায়। তারা ওই ব্যক্তিকে ২ লক্ষ ভারতীয় টাকার বদলে ২ লক্ষ আরবের রিয়ার দেওয়ার কথা জানায়। প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে লোভে পরে রাজি হয়ে যান গাজোলের ওই ব্যক্তি। দুই ব্যক্তি তাঁকে টাকা নিয়ে মঙ্গলবাড়ি রেলগেট এলাকায় আসতে বলে। গত বুধবার ৫৫ হাজার নিয়ে রেলগেট এলাকায় চলে আসেন গাজোলের ওই ব্যক্তি। ওই দুই ব্যক্তি টাকা নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যায়৷ বাড়ি ফিরে বারবার ফোন করার পরেও ওই দুই ব্যক্তি ফোন না ধরায় সন্দেহ হয় তাঁর। অবশেষে গাজোলের ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন৷ শুক্রবার দুপুরে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি৷


প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস এলাকা থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে মালদা থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে দুই ব্যক্তির জবাব শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে ওঠে পুলিশ কর্তাদের। জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে ওই দুই ব্যক্তি নিজেদের বর্ধমানের বাসিন্দা বলে জানায়। তবে বারবার জেরা মুখে শেষে তারা জানায়, তারা বাংলাদেশি৷ তাদের বাড়ি সিলেট ডিভিশনের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর এলাকায়। মাস ছয়েক আগে দালালকে টাকা দিয়ে সুন্দরবন এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে তারা৷ একেকজনের জন্য দালালকে ১৭-১৮ হাজার টাকা দিতে হয়েছে৷ এদেশে ঢুকে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে তারা।


মালদা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই বাংলাদেশির নাম শ্রীদাম ব্যাপারি (৩৮) ও নির্মল শিকদার (৪৫)। ধৃতদের শনিবার পাঁচদিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদনে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page