পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর! নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
মণিপুরের পর এবার বর্বরতার ছবি মালদায়। চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভাইরাল হওয়া এই ছবি নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় পড়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশসুপাররা। এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে জেলা পুলিশ অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ বিজেপির৷
আজ সকালে বামনগোলা থানার পাকুয়াহাটের এই ভিডিয়ো প্রথম টুইট করেন বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিত মালভ্য। একে একে এনিয়ে সরব হন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, প্রচুর মানুষের ভিড়ের মধ্যে প্রমীলা বাহিনী দুই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করছেন৷ মারধরের চটে তাঁদের পোশাক খুলে যাওয়ার উপক্রম। এক সময় এক মহিলা পুরোপুরি বিবস্ত্র হয়ে পড়েন। এর মধ্যেই চলতে থাকে জুতো পেটা। পুরো ঘটনায় দর্শক হয়ে দেখেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা যায় স্থানীয় ব্যক্তিদেরও। জানা গিয়েছে, নির্যাতিত দুই মহিলা মানিকচকের বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার চোর সন্দেহে দুই মহিলা গণরোষের মুখে পড়েন। পরে পুলিশ কোনমতে তাঁদের উদ্ধার করে। তবে আইনি সহায়তার বদলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু জানান,
গত মঙ্গলবার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছে৷ পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে৷ এরাজ্যে মহিলারা আক্রান্ত হচ্ছেন, অথচ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী অন্য রাজ্য নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন৷ এনিয়ে পুলিশ সুপারকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি৷ অর্থাৎ পুলিশ সুপার এখানে জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম করছেন৷ পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ অথচ পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নাটক দেখেছে৷ পুলিশের সামনেই এমন ঘটনা ঘটলে রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Komentarai