বাঁধভাঙা জলে তলিয়ে মৃত্যু দুই পড়ুয়ার
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- Sep 17
- 1 min read
১২ ঘণ্টার মধ্যে বাঁধ ভাঙা জলে তলিয়ে মৃত্যু এক ছাত্র ও এক ছাত্রীর। দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে চলতি মরশুমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিনে। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি উদ্ধারকারী দলের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন।
বুধবার রাতে প্রথম ঘটনাটি ঘটে ভূতনির ধর্মশীলটোলায়। রাতের অন্ধকারে বন্ধুর সঙ্গে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রোজ শেখ (২১)। তিনি কলকাতার একটি প্যারামেডিকেল কলেজের ছাত্র। পশ্চিম রতনপুর এলাকায় বাঁধের কাটা অংশ দিয়ে প্রবল গতিতে গঙ্গার জল ভূতনিতে ঢুকছে। সেই জল ওই রাস্তা দিয়ে বইছিল। বাড়ি ফেরার পথে ওই জায়গা পার করার সময় কোনোভাবে সাইকেল থেকে পড়ে যান তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই জলের প্রবল স্রোতে ভেসে যান তিনি। ঘটনার খবর পেয়েই রোজকে উদ্ধার করে জলে নেমে পড়েন স্থানীয় লোকজন। কিছু সময় পর জল থেকে উদ্ধার করা হয় রোজকে। তড়িঘড়ি তাঁকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে, বুধবার সকালে গঙ্গার জলে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরীর। মৃত কিশোরীর নাম হেমাঙ্গিনী মণ্ডল (১১)। বাড়ি মহেন্দ্রটোলা গ্রামে। সে পশ্চিম নারায়ণপুর হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাঠরত ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, হেমাঙ্গিনীদের বাড়ির সামনে বাঁধভাঙা জল। সেই জলে স্নান করতে গিয়েছিল হেমাঙ্গিনী। স্নান করতে গিয়ে হঠাৎ তলিয়ে যায় সে। গ্রামের বাচ্চারা সেই দৃশ্য দেখেই স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেন। স্থানীয় বাসিন্দা জলে নেমে ঘণ্টাখানেক পর হেমাঙ্গিনীর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সদর মহকুমাশাসক পঙ্কজ তামাং জানান, ভূতনিতে জলে ডুবে দু’জনের মৃত্যুর খবর এসেছে৷ ভূতনিবাসীর কাছে আমাদের আবেদন, এই পরিস্থিতিতে কেউ যাতে কোনও ধরনের ঝুঁকি না নেন৷ প্রয়োজনে নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারি ফ্লাড শেল্টারে আশ্রয় নিন৷ প্রশাসন সমস্ত ব্যবস্থা করেছে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments