ফের কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল সদস্যের স্বামীর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কুশিদা গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গাড়রা গ্রামে।
কুশিদা গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গাড়রা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রুমা সাহা। তাঁর স্বামী উত্তম সাহা এলাকার তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে উত্তম সাহা উপভোক্তাদের থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে কাটমানি নিয়েছে। কাটমানি নেওয়ার পরেও লিস্টে অনেকের নাম আসেনি। এখন ওই উপভোক্তারা টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরপরেই পঞ্চায়েত সদস্যের টাকা নেওয়ার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
মোহম্মদ আজাদ নামে অভিযোগকারী বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর স্বামী, দেওর এবং সুপারভাইজার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে কাটমানি নিয়েছিল। এখন লিস্টে অনেকের নাম এসেছে, অনেকের আসেনি। তাঁরও নাম আসেনি। তিনি টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দিচ্ছে, যা করার করে নে। বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েত ও বিডিও দফতরে অভিযোগ জানান তিনি।
একই বক্তব্য আরেক উপভোক্তা দিলশাদ রাজার। তিনি বলেন, এখন লিস্টে যাদের নাম এসেছে তাঁদের কাছে জব কার্ডের জন্য হাজার টাকা নিচ্ছে। না দিলে লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আর লিস্টে যাদের নাম আসেনি তাঁদের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। উত্তম সাহার টাকা নেওয়ার ভিডিয়ো আছে তাঁদের কাছে।
[ আরও খবরঃ আমসত্ত্বর বাজার ধরতে সরকারি সাহায্য দাবি ]
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী উত্তম সাহা বলেন, এসব বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। যাদের ঘর আসেনি তাঁরা এসব মিথ্যে প্রচার করছে। যে ভিডিয়োর কথা বলা হচ্ছে তা বিরোধীরা এডিটিং করে করেছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মানিক দাস বলেন, সংবাদমাধ্যমের থেকে বিষয়টি জানতে পারলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল দলটাই কাটমানির দল। দুর্নীতিতে ভরতি। জনগণ সেটা বুঝছে এখন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments