তৃণমূল নেতার পরকীয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল, রাজনৈতিক তরজা
পরকীয়া নিয়ে তৃণমূল নেতা ও তাঁর বান্ধবীর ভাইরাল ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য রতুয়ায়। পরকীয়া করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরায়, গ্রামবাসীরা দুজনের বক্তব্য রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে বিঁধতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের একটি গ্রামে এক যুবতির বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মণিরুল ইসলাম। রাতে ওই যুবতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। এরপর ওই তৃণমূল নেতা ও যুবতির বয়ান ভিডিয়ো রেকর্ড করেন স্থানীয়রা। সেই ভিডিয়োয় মণিরুল দাবি করেন, সেদিনই প্রথম তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। যদিও ওই যুবতি স্বীকার করে নেন, প্রায় এক বছর ধরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এরপরই এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেন। সেই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ঘটনাপ্রসঙ্গে সিপিআইএমের রতুয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, তৃণমূলের নেতাদের বান্ধবীদের ঘরে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে৷ আসলে এদের টাকার অভাব নেই৷ এত টাকা কোথায় খরচ করবে? তাই আনন্দ-স্ফুর্তি করছে৷ বান্ধবী জোটাচ্ছে৷ যে ছেলেটি এখানে বান্ধবীর সঙ্গে ধরা পড়েছে, তার বয়স ৫৫ বছরের উপরে৷ আসলে তৃণমূল একটা লুম্পেনের দল৷ ওদের লোকজন তো এসব কাজেই থাকবে৷
রতুয়া ১ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ সিং জানান, তৃণমূলের লোকজন বান্ধবী ছাড়া চলতে পারে না। প্রতিটি বান্ধবী কাটমানির টাকা রাখার ব্যাংক। আগে শুধু তৃণমূলের বড়ো বড়ো নেতার বান্ধবীর খোঁজ মিলত। এখন বুথ স্তরের নেতাদেরও বান্ধবীর খোঁজ মিলছে।
উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু জানান,
রতুয়ার এলাকার মানুষ তৃণমূলের এক নেতাকে পরকীয়ার সময় হাতেনাতে ধরেছে৷ এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। যদিও ধরা পড়ার পর এখন তৃণমূলের লোকজন এখন ওই নেতাকে দলের লোক হিসেবে মানতে রাজি নাও হতে পারে।
জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আইন আইনের পথে চলবে৷ যদি ওই ব্যক্তি তৃণমূলের কর্মী হয় এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, দল পাশে থাকবে না৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments