বনধ নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতি, উত্তেজনা পুরাতন মালদায়
ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে বিজেপির ডাকা বনধ ঘিরে উত্তেজনা পুরাতন মালদায়। পুলিশের উপস্থিতিতে হাতহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। যদিও পুলিশি তৎপরতায় ঝামেলা ততদূর গড়াতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গতকালই বিজেপির তরফে ১২ ঘণ্টার বনধ ঘোষণা করা হয়। তারপরেই বনধ প্রতিরোধের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্য সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিরোধে রাস্তায় নামার কথাও উঠে এসেছিল একাধিক শাসকদলের নেতৃত্বের গলায়। আজ সকালে বনধের সমর্থনে বুলবুলচণ্ডী মোড়ে মিছিল করতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। মিছিলে যোগ দেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। কিছু সময় পর পুরাতন মালদা পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের নেতৃত্বে বনধের প্রতিবাদে মিছিল করে এগিয়ে আসতে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির মিছিলের দিকে এগিয়ে যেতেই তৃণমূলিদের বাধা দেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই বিজেপি নেতাকর্মীদের দিকে ছুটে যান তৃণমূলের লোকজন। প্রতিবাদে এগিয়ে আসে বিজেপির কর্মীরাও। নিমেষে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, বনধের সমর্থনে রাজ্য জুড়ে আমাদের শান্তিপ্রিয় কর্মসূচি চলছে৷ কিন্তু তৃণমূল সেই মিছিলের উপর হামলা চালাচ্ছে৷ এখানে আমাদের জেলা সভাপতিকে তৃণমূলিরা মারধর করেছে৷ মহিলা মোর্চার সদস্যদের গায়ে হাত তুলেছে৷ তৃণমূল কি ধর্ষক-খুনির পক্ষে থাকতে চায়? আমরা আরজি করের ঘটনায় ধর্ষণ ও খুনিদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি৷ ঘটনার সিবিআই তদন্তে তৃণমূলের একের পর এক রাঘব বোয়ালের নাম উঠে আসছে৷ সেই কারণেই ওরা আমাদের মিছিলের উপর হামলা চালাচ্ছে৷ মানুষ এর বিচার করবে৷
তৃণমূলি চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ জানান, বিজেপি বাংলাকে অচল করতে বনধ করছে৷ এতে যে মানুষগুলোর অসুবিধে হবে, তারাই বনধের প্রতিবাদ করছে৷ ওরা পথ অবরোধ করেছিল৷ ওদের সরিয়ে দিয়েছে৷ এখানে কোনও হামলা হয়েছে কিনা জানা নেই৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios