সেফটি ট্যাংক থেকে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারে আটক তিন বন্ধু
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- 2 minutes ago
- 2 min read
সেফটি ট্যাংক থেকে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিন বন্ধুকে নিজেদের হেপাজতে নিল বিহার পুলিশ। তিন বন্ধুর কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের জগবন্ধুটোলা গ্রামে।
মৃত অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের নাম অঙ্কুর সরকার (১৫)। জগবন্ধুটোলা গ্রামে তাদের বাড়ি থেকে বিহারের দূরত্ব প্রায় ৩০০ মিটার৷ গত সোমবার অঙ্কুর বিয়েবাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোয়। তারপর থেকে আর অঙ্কুরের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরদিন বিহারের বিনোদটোলা গ্রামের একটি স্কুলের সেফটি ট্যাংক থেকে অঙ্কুরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
অঙ্কুরের বাবা চন্দন সরকার জানান, গত সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে আমার ছেলেকে কৈলাশ মণ্ডল, ভরত মণ্ডল আর হেমন্ত মণ্ডল বিহার নিয়ে গিয়েছিল৷ বিনোদটোলা গ্রামে একটি বিয়েবাড়িতে ওদের নিমন্ত্রণ ছিল৷ সেদিন সন্ধে থেকে ওর ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়৷ ছেলেকে বারবার ফোন করেও একবারও কথা বলতে পারিনি৷ রাতে কৈলাশ, কৌশিক আর ভরতকে গ্রামে ঘোরাঘুরি করতে দেখি৷ আমার কথায় ওরা অঙ্কুরকে ফোন করে৷ তখনও ছেলের ফোন সুইচ অফ ছিল৷ মঙ্গলবার দুপুরে খবর আসে বিনোদটোলা গ্রামের স্কুলের সেফটি ট্যাংকের কাছে একটি ফোন উদ্ধার হয়েছে৷ ওই সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ আজ সকালে ওদের তিনজনকে আমি স্থানীয় মহানন্দটোলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে যায়৷ সেখানে পুলিশি জেরায় তারা স্বীকার করে নেয়, তারা অঙ্কুরকে মারধর করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দিয়েছিল৷

স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষিতীশ সরকার জানান, ওই বিয়েবাড়িতে আমারও নিমন্ত্রণ ছিল৷ সেদিন ওদের চারজনকে আমি একসঙ্গে দেখেছি৷ পরে অঙ্কুরের বাবা-মা জানান, অঙ্কুরকে পাওয়া যাচ্ছে না৷ রাতেই আমি ওই তিনজনের বাড়িতে যাই৷ ওরাও বাড়িতে ছিল না৷ পরদিন জানতে পারি, অঙ্কুরের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে৷
রতুয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ রতুয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ যেহেতু মৃতদেহটি বিহার রাজ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে, তাই সেখানকার পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে৷ এই ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে বিহারের আমদাবাদ থানার পুলিশ।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments