১০ বছর ধরে বসবাসের পর পুলিশের জালে তিন বাংলাদেশি
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Jun 11
- 2 min read
১০ বছর ধরে ভারতবর্ষে বসবাস। অবশেষে পুলিশের জালে তিন বাংলাদেশি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার গাজোল ব্লকে। ধৃতদের মালদা জেলা আদালতের মাধ্যমে পুলিশি হেপাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশের তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ধৃত মনিরুল আলি (৩৪), মহম্মগ রুহুল আলি (২৮) এবং মহম্মদ সমির আলিরা (২৪) তিন ভাই। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার রাউতনগর গ্রামে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁছ বছর ধরে ধৃতরা রসিকপুর গ্রামে বসবাস করছেন৷ তার আগে বছর পাঁচেক গাজোলেরই মুড়িয়াকুণ্ড এলাকায় ছিলেন তারা। পুলিশি জেরায় ধৃতরা আরও জানায়, তাদের সঙ্গে পাঁচ থেকে সাতজন মহিলাও রয়েছেন৷ এখন তারা কোথায়, সেই খোঁজ তাদের কাছে নেই। তাদের মতো আরও অনেক বাংলাদেশি নাগরিক মালদার বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করছে।

এদিকে, এই ঘটনা থেকে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ধৃতরা কীভাবে আধারকার্ড তৈরি করে ফেলল? তবে কী এর পেছনে রাজনৈতিক মদত রয়েছে। এর আগেও বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে ভারতীয় নাগরিক হয়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশের একাংশের ধারণা, অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পরই এলাকায় পরিচিতি তৈরি করে বাড়ি ভাড়া নেয় বাংলাদেশিরা। তারপর বাড়ির মালিককে বাবা সাজিয়ে পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে জন্মের নথিপত্র সংগ্রহ করা। সেই জন্মের শংসাপত্র নিয়ে ভোটার কার্ডের আবেদন। ভোটার কার্ড তৈরি হলে ফের পঞ্চায়েত দপ্তরে বাবার নাম সংশোধনের আবেদন। জন্মের নথিপত্রে বাবার নাম পরিবর্তন হলেই, ভোটার কার্ডেও বাবার নাম পরিবর্তনের আবেদন। সংশোধিত ভোটারকার্ড হাতে মিললেই আধারকার্ড পাওয়া খুবই সহজ। এভাবেই দিনের পর দিন বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভুয়ো জন্ম সার্টিফিকেট রুখতে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অনুমোদন ছাড়া পঞ্চায়েত প্রধান জন্ম সার্টিফিকেট ইশ্যু করতে পারবে না।
তবে গাজোলের এই ঘটনার ক্ষেত্রে আধার কার্ড থাকলেও ধৃতদের কাছে ভোটার কার্ড কিংবা পাসপোর্ট নেই। তবে কি নতুন কোনো পদ্ধতিতে আধার কার্ড তৈরি হয়ে যাচ্ছে? নাকি ধৃতদের হেপাজত থেকে উদ্ধার হওয়া আধার কার্ড পুরোপুরি ভুয়ো? ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের সন্ধান পেতে মরিয়া মালদা জেলা পুলিশ।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments