মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথার নিচের অংশে পরপর তিনটি গুলি
পরিকল্পনা মাফিক খুন। রীতিমতো দীর্ঘদিন ধরে নজরদারি চালিয়ে, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে পেছন দিকে মাথার নিচে গলার সংযোগস্থলে তিনটি গুলি চালানো হয়। দুলালবাবুকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে আরও দু’জনকে। উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতদের আজ পুলিশি হেপাজতের আবেদনে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় গতকালই মানিকচক থানা এলাকা থেকে ধরা পড়ে সামি আখতার (২০) ও টিংকু ঘোষ (২৩) নামে দুই যুবক। সামি বিহারের কাটিহার জেলার আজমনগর থানা এলাকায় বাসিন্দা। টিংকুর বাড়ি ইংরেজবাজারের যদুপুর গাবগাছি এলাকায়। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারি, ঘটনাস্থল থেকে তারা ডিজেল শেড হয়ে জাহাজফিল্ডের মধ্যে দিয়ে মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়কে ওঠে। সেখান থেকে তারা মানিকচকে যায়। রাস্তার মধ্যে তারা মোটরবাইক, জ্যাকেট জুতো ফেলে দেয়।
গতকাল রাতে এই ঘটনায় জড়িত আবদুল গনি (২০) নামে আরেক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাকে ইংরেজবাজারে নিয়ে এসেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ৷ ধৃত তিনজনকেই এদিন জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে৷
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় সবসময় নজর রাখছেন। তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বলেছেন, দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে৷ এর পিছনে যে’ই থাকুক না কেন, তাকে খুঁজে বের করতেই হবে৷ শুনেছি, এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বিহারের দুষ্কৃতীরাও এই ঘটনায় যুক্ত৷ পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments