বাড়ি ফেরা আর হল না যাত্রীর, মালদা স্টেশনে আটকে গেল ট্রেন
বন্যা বিপর্যয়ে প্রাণ হারাতে হল এক রেলযাত্রীকে৷ সোমবার ভোরে সাইফুল ইসলাম নামে ওই যাত্রী মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মারা যান। সাইফুলের বয়স ২৭৷ বাড়ি অসমের বরপেটায়, পেশায় শ্রমিক৷
![মালদা স্টেশনে আটকে গেল ট্রেন](https://static.wixstatic.com/media/dac04b_9cb5334a6272439faabd8cda5dbfb5a3~mv2.jpg/v1/fill/w_147,h_98,al_c,q_80,usm_0.66_1.00_0.01,blur_2,enc_auto/dac04b_9cb5334a6272439faabd8cda5dbfb5a3~mv2.jpg)
কিশনগঞ্জ স্টেশন জলের তলায় চলে যাওয়ায় ট্রেন আর যাবে না৷ বাধ্য হয়ে তাঁরা স্টেশনে নেমে পড়েন৷
সাইফুল বেশ কিছুদিন আগে কেরলে কাজ করতে গিয়েছিলেন৷ তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, কেরলে কাজ করার সময়ই অসুস্থ ছিলেন তিনি৷ তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়েছিল৷ সেখানকার একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাও হয়৷ সেই অবস্থাতেই তিনি কাজ করে যাচ্ছিলেন৷ কাজ শেষ করে তাঁরা মোট ১০ জন অসমগামী বিবেক এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন৷ ট্রেনের মধ্যেও বেশ কয়েকবার অসুস্থ বোধ করেন সাইফুল৷ এরই মধ্যে প্রবল বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রেল পরিষেবা৷ প্রায় ১২ ঘণ্টা দেরিতে রবিবার রাতে মালদা স্টেশনে পৌঁছোয় বিবেক এক্সপ্রেস৷ সেখানে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, কিশনগঞ্জ স্টেশন জলের তলায় চলে যাওয়ায় ট্রেন আর যাবে না৷ বাধ্য হয়ে তাঁরা স্টেশনে নেমে পড়েন৷ সেই সময় সাইফুলের শারীরিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়৷ তাঁরা জিআরপি ও আরপিএফ কর্মীদের বিষয়টি জানান৷ তাদের সহযোগিতায় তাঁরা সাইফুলকে রাতে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন৷ কিন্তু সোমবার ভোরে মারা যান সাইফুল৷ তাঁরা সাইফুলের পরিবারের লোকজনকে খবর দিয়েছেন৷ কিন্তু বন্যায় কেউ মালদার দিকে এখনও রওয়ানা দিতে পারেননি৷ বাধ্য হয়েই তাঁরা সাইফুলের মৃতদেহ নিয়ে এখানেই বসে রয়েছেন৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন