দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল এক গাড়ি চালক। গতকাল রাত নটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজ মোড় এলাকায়। রাস্তার ধারে নির্মাণ সামগ্রীর বালি-পাথর ফেলে রাখার কারণে দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
রাস্তার ওপর ফেলে রাখার প্রবণতা বন্ধ করতে বালি, পাথরের মত নির্মাণসামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে: হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি
উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিডিও প্রীতম সাহার গাড়ির সঙ্গে এক স্কুল ভ্যানের গাড়ির ধাক্কায় আহত হয় পাঁচ খুদে পড়ুয়া। গতকাল রাত নটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজ মোড়ে পিডব্লিউডি'র বড়ো পাথর রাস্তার ধারে পড়ে থাকার কারণে নিয়ন্ত্রণহীন হারিয়ে দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। যদিও হতাহতের কোনো খবর নেই। রাস্তায় পাথর পড়ে থাকার পাশাপাশি কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার ওপর বালি, পাথর ফেলে রাখায় ছোটখাটো দুর্ঘটনাও হয়েছে। তারপরেও প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। তুলসিহাটা ও মস্তান রোড এলাকায় রাস্তার ধারে নয়, সরাসরি রাস্তা উপরেই চলছে ব্যবসা। ইট, বালি, স্টোন-চিপসের ব্যবসার জেরে দুর্ঘটনার ছবিটা নতুন নয়। কিন্তু তাতে কী! দুর্ঘটনার পর দু-একদিন একটু সামলে চলা ব্যস, ফের আগের অবস্থাই বহাল হয়ে যায়।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, রাস্তার ওপর বালি, পাথরের মত নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখার প্রবণতা বন্ধ করতে মাঝেমধ্যে প্রচার চালান হয়। ওই ব্যাপারে ফের সচেতনতা বাড়াতে প্রচারাভিযান চালানো হবে। তাতে কাজ না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে বালি, পাথর বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। দুর্ঘটনা কমাতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনবহুল এলাকা, স্কুল এলাকা ও চৌমাথার মোড়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যাধুনিক স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছে।
Comentarios