সংরক্ষণের গেঁরোয় পঞ্চায়েত দখল করেও হাতছাড়া প্রধানের আসন
top of page

সংরক্ষণের গেঁরোয় পঞ্চায়েত দখল করেও হাতছাড়া প্রধানের আসন

পঞ্চায়েত দখল করেও সংরক্ষণের গেঁরোয় প্রধান হতে পারছেন না শাসকদলের জয়ী প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে আইনের ফাঁক খুঁজতে ব্যস্ত শাসকদল। আইন পালনে নির্বাচন কমিশন কিংবা জেলা প্রশাসনের কোনোরকম খুঁত পেলেই আদালতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে কংগ্রেস।


ইংরেজবাজারের যদুপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৯টি। নির্বাচনে শাসকদলের দখলে এসেছে ১০টি আসন। কংগ্রেস পাঁচটি, সিপিএম তিনটি এবং বিজেপি একটি আসনে জয়লাভ করেছে। ১০টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত শাসকদলের দখলে। কিন্তু এবারের জন্য ওই পঞ্চায়েতে প্রধানের পদ ওবিসি সংরক্ষিত। এদিকে, তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে কেউ ওবিসি নন। শাসকদলের ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত প্রার্থীরা কেউ জয় লাভ করতে পারেননি। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত রয়েছেন দু’জন। দু’জনেই কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আইনে ফাঁক খুঁজতে বসেছে শাসকদল।



জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি শুভময় বসু জানান, যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের দখলে এসেছে। তবে পঞ্চায়েতের প্রধানের আসনটি ওবিসি সংরক্ষিত৷ কিন্তু ওই পঞ্চায়েতে ওবিসি আসন থেকে আমাদের কোনো প্রার্থী জেতেননি৷ আমরা পঞ্চায়েত আইন খতিয়ে দেখছি৷ কিন্তু কিছুই না করা গেলে অন্য দলের উপর ভরসা করা ছাড়া উপায় নেই৷


জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোত্তাকিন আলম জানান, যদুপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের আসন এবার ওবিসি সংরক্ষিত। ওই পঞ্চায়েত থেকে শুধুমাত্র আমাদের দুই ওবিসি প্রার্থী জয়লাভ করেছে। স্বাভাবিকভাবে প্রধান কংগ্রেস দলের জয়ী প্রার্থীই হবেন। শোনা যাচ্ছে, সাধারণ আসনে জয়ী প্রার্থী ওবিসি তালিকাভুক্ত থাকতে তাঁকে প্রধান করার চিন্তাভাবনা করছে তৃণমূল। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় জাতিগত শংসাপত্র জমা দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন বা জেলা প্রশাসন কী করবে তা জানা নেই। তবে আইন পালনে ত্রুটি নজরে এলেই আমরা আদালতের স্বারস্থ হব।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page