পুরোনো টোটো ভেঙে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। তার বদলে শহরে চলবে ই-রিকশা। ক্ষতিপূরণ বাবদ টোটো চালকেরা পাবেন ২০ হাজার টাকা। সোমবার জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে টোটোগুলিকে ভাঙার কাজ শুরু করা হয়েছে। এদিকে প্রশাসনের এই ভূমিকায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতারা।
অম্বর মিত্র, সিপিএমের মালদা জেলা সম্পাদক
“এইভাবে টোটো ভেঙে হাতে ২০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে সমস্যার কোনও সমাধান হবে না। উলটে সমস্যা বাড়বে”
টোটো ভাঙা নিয়ে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অজয় গাঙ্গুলি বলেন, শাসকদলের প্রত্যক্ষ মদতে ও মোটা টাকার বিনিময়ে নেতাদের প্রতিশ্রুতিতে বেকার যুবকরা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তাঁদের সংসার চালাচ্ছিল। এখন আবার শাসকদলের অঙ্গুলি হেলনে শুরু হয়েছে টোটো ভাঙার কাজ। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কালীসাধন রায় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে তালিবানি আইনের সাথে তুলনা করেছেন। সিপিএমের মালদা জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, এইভাবে টোটো ভেঙে হাতে ২০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে সমস্যার কোনও সমাধান হবে না। উলটে সমস্যা বাড়বে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর শুভময় বসু। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রশাসন এই কাজ করছে। বিরোধী দলগুলিকে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সর্বদলীয় বৈঠকে করে তারাই এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছিলেন। এখন বাইরে এসে নাটক করছে।
যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Comentarios