স্ত্রীকে অন্যের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার নির্দেশ, প্রতিবাদ করায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ
top of page

স্ত্রীকে অন্যের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার নির্দেশ, প্রতিবাদ করায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ

পুলিশ পরিচয় দিয়ে যুবতিকে বিয়ে করেছিল যুবক। বিয়ের পর জানা যায়, ওই যুবক পুলিশ নন, পুলিশে চাকরির চেষ্টা করছেন। চাকরির জন্য ওই যুবতিকে পর পুরুষের শয্যাসঙ্গী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ওই যুবক। স্বামীর এই নির্দেশ শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েন ওই যুবতি। স্বামীর নির্দেশ পালন না করার কথা সাফ জানিয়ে দেন। এরপর থেকেই ওই যুবতির ওপর চলতে থাকে অত্যাচার। কোনোমতে বাবার বাড়ি পালিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও পুলিশি অভিযোগ পুরো ঘটনা জানাতে সংকোচবোধ করেছেন ওই যুবতি।


প্রায় দেড় বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার এক যুবতির সঙ্গে রতুয়া থানা এলাকার এক যুবকের বিয়ে হয়৷ পুলিশকর্মী জেনেই বিয়ের সময় নগদ চার লক্ষ টাকা, সোনার গয়না সহ যাবতীয় সামগ্রী পাত্রকে দিয়েছিলেন যুবতির পরিবারের লোকজন৷ বিয়ের পর সকলে জানতে পারেন ওই যুবক পুলিশকর্মী নয়।


যুবতির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী মারধর শুরু করে৷ নিজের চাকরির জন্য অন্য একজনের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার নির্দেশ দেয় ওই যুবক। তাতে রাজি না হওয়ায় ফের মারধর করা হয়। কথায় রাজি না হওয়ায় শ্বশুর-শাশুড়ি, দেওর-ননদ, সবাই মিলে চরম অত্যাচার শুরু করে৷ এমনকি খেতেও দিত না৷ একসময় সবাই মিলে গলায় ফাঁস দিয়ে, পরে নদীতে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করে৷ ওরা মোট চারবার খুনের চেষ্টা করেছে৷ শেষ পর্যন্ত কোনওরকমে পালিয়ে বাপের বাড়িতে আসি৷ মার্চ মাসে রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি৷



যুবতির মায়ের অভিযোগ, মেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্তা ছিল৷ মারধরে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ চারবার ওকে খুনের চেষ্টা করেছে৷ কোনওমতে মেয়ে পালিয়ে আমার বাড়িতে আসে৷ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। সবাই বলছে, ভোট না মিটলে কিছু হবে না৷


রতুয়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করা হয়েছিল৷ অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে গ্রামে ফিরে আসে। নির্দিষ্ট প্রমাণ সহ ওই বধূ আবার অভিযোগ দায়ের করলে নতুন করে মামলা রুজু করে তদন্ত করা হবে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page