চিকিৎসায় গাফিলতিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনা
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Aug 27
- 1 min read
চিকিৎসায় গাফিলতিতে দুর্ঘটনায় আহত সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ইংরেজবাজারের যদুপুর এলাকায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যেতে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলেও খবর। যদিও এনিয়ে এখনও পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মিঠুন সরকার (৩৭)। বাড়ি ইংরেজবাজারের খাসিমারি এলাকায়। মিঠুন ইংরেজবাজার থানার অধীনে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল মোটরবাইক নিয়ে ডিউটিতে যাচ্ছিলেন মিঠুন। সুস্থানি মোড় এলাকায় একটি জেসিবির সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে যদুপুর এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভরতি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মৃত্যু হয়েছে মিঠুনের। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সরব হন পরিবারের লোকজন। মৃতদেহ নিয়ে যেতে এলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ।

মৃতের শ্যালক সুদীপ্ত সিংহ জানান, স্থানীয় লোকজন জামাইবাবুকে এই নার্সিংহোমে ভর্তি করে। এখানে কোনও কাগজে ডাক্তারের সই নেই। জানানো হয়েছিল, ছটা নাগাদ সার্জেন আসবেন। কিন্তু সার্জেন আসেননি। কয়েক ঘণ্টা পর নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রক্ত নিয়ে আসতে বলে। কিন্তু সেই কাগজেও ভুল ছিল। আরও খানিক বাদে ফোন করে জানানো হয়, সার্জেন এসেছে। আমি নিচ থেকে ওয়ার্ডে পৌঁছনোর আগেই ডাক্তার চলে যায়। কিন্তু কোথাও কাগজে সার্জেনের কোনো সই নেই। আসলে এখানে কোনও চিকিৎসায় করা হয়নি। বিনা চিকিৎসায় আমার জামাইবাবুকে মেরে ফেলা হল। আমাকে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকার বিল ধরানো হয়েছে।
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই রোগীকে ভরতি করা হয়েছিল। আইসিইউ-তে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্তে সমস্ত সত্য উঠে আসবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments