top of page

টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে

বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ। রাজ্যের শাসকদল, তৃণমূলের তরফে এনিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।


মালদা জেলায় একমাত্র হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ৩১ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েত সমিতিতে গত নির্বাচনে ১৬টি আসন জয়লাভ করে বিজেপি। তৃণমূলের সদস্য রয়েছেন ১৩ জন। বাকি ৩ সদস্যের মধ্যে দু’জন সিপিআইএমের এবং একজন কংগ্রেসের সদস্য। এই পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে সোলার লাইট প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে।


তৃণমূলের অভিযোগ, হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির তরফে গত ২৯ জানুয়ারি ১৮টি সোলার লাইট বসানোর কাজের জন্য টেন্ডার করা হয়৷ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা৷ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এক লক্ষ টাকার বেশি অর্থের যে কোনও কাজের জন্য ই-টেন্ডার আহ্বান করা বাধ্যতামূলক৷ কিন্তু এখানে ই-টেন্ডার করা হয়নি। বিজেপি সদস্যরা ২৮টি সোলার লাইটের কাজ নিজেদের মধ্যেই ভাগ করে নিয়েছেন৷ বিরোধীদের কাউকে এই কাজ দেওয়া হয়নি৷ পাশাপাশি নিজেদের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের এই কাজের বরাত পাইয়ে দিয়েছেন বিজেপি সদস্যরা৷



পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য অজয় গুপ্ত জানান, ২৯ জানুয়ারি পঞ্চায়েত সমিতির তরফে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অফলাইন টেন্ডার ডাকা হয়৷ এই টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধী সদস্যদের কিছু জানানো হয়নি৷ প্রতিবাদে গত ১৩ মার্চ আমরা তৃণমূলের তরফে বিডিওর কাছে পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি৷ বিডিওর থেকে কোনও সদুত্তর না পেয়ে আমরা জেলাশাসক সহ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের লিখিত আবেদন জানিয়েছি৷


ঘটনাপ্রসঙ্গে হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুখিরানি সাহা কিংবা বিডিও মনোজ কাঞ্জিলাল সংবাদমাধ্যমে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি৷ অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শেখ আনসার আহমেদ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক আর বিডিওকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। তদন্তে কিছু অসংগতি ধরা পড়লে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page