নিজের বিয়ে রুখে এলাকার বাচ্চাদের অনুপ্রেরণা কিশোরী
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- 12 minutes ago
- 1 min read
পড়াশোনা করে সাফল্যের জেদ মনে বসেছিল। সেই জেদকে হাতিয়ার করেই বাবা, সহ পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতেছে নবম শ্রেণির পড়ুয়া। পাশে পেয়েছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেও। নিজের বিয়ে রুখে ১৫ বছরের মেয়েটা এখন ওই এলাকার বাচ্চাদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
ঘটনাটি রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের। স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পাঠরত ওই কিশোরী। বাবা দিনমজুরি করেন। মা সংসার সামলে সময় পেলে মাঠে শ্রমিকের কাজ করেন। ১৫ বছরের ওই মেয়েটার মার্কশিটে চোখ ধাধানো নম্বর না থাকলেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। গরিব বাবা-মা যখন মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছেন, তখন প্রতিবাদ করেছিল ওই কিশোরী। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। মেয়ের মতলব বুঝে বাবা-মাও তাকে বাড়ির বাইরে যেতে দিচ্ছিল না। প্রথমে কি করবেন তা বুঝতে উঠতে না পারলেও শিক্ষকের সাহায্য নেওয়ার বুদ্ধি মাথায় আসে। সুযোগ বুঝে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানান। যে কোনোভাবে বিয়ে বন্ধ করার আবেদন করেন।
ছাত্রীর সমস্যার কথা জানতে পেরেই, প্রধান শিক্ষিকা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে পুলিশকে নিয়ে ছুটে যান মেয়েটির বাড়ি৷ অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দিলে কী কী সমস্যা হতে পারে তা জানান পরিবারের লোকেদের। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার লিখিত মুচলেকা জমা দেন নাবালিকার অভিভাবকরা।

প্রধান শিক্ষিকা জানান, এই এলাকায় নিম্নবিত্ত মানুষের বসবাস৷ পুরো সংখ্যালঘু এলাকা৷ এখানে প্রচুর নাবালিকার বিয়ের অভিযোগ ওঠে। সময়মতো জানতে না পারায় সব সময় ব্যবস্থাও নেওয়া যায় না। পরিবার ও সমাজের কথা ভেবে মেয়েরাও এগিয়ে আসতে ভয় পায়। কিন্তু এই মেয়েটি সেই ভয়কে জয় করে এগিয়ে এসেছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আমরা তার বিয়ে বন্ধ করতে পেরেছি৷ আমরা চাই, ওকে দেখে এলাকার প্রতিটি মেয়ে উদ্বুদ্ধ হোক৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন









