মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জেলা নেতৃত্বদেরও কটাক্ষ সুকান্তর
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- Oct 13
- 2 min read
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি শাসকদলের মালদার একাধিক নেতাকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। মেয়েদের রাস্তায় বেরোনোর প্রসঙ্গ নিয়ে টাইমে মেশিনে বসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাবরের আমলে পাঠানোর কথা বলেন বালুরঘাটের সাংসদ। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরিকে মমি বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর তিরে বিদ্ধ হয়েছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সিও।
উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার প্রতিবাদে জেলা বিজেপি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, হবিবপুর ও মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জয়েল মুর্মু ও গোপাল সাহা, বিজেপির দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সহ বিজেপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

সভামঞ্চ থেকে সুকান্ত বলেন, “ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান মমি হয়ে গিয়েছেন। বলছেন, কবরে না যাওয়া পর্যন্ত নেতাগিরি ছাড়বেন না। তাঁর কাছে জানতে চাই, খগেন মুর্মুর মাথা থেকে রক্ত বেরোতে দেখে কি মনে হয়েছিল? যদি মালদার তৃণমূল নেতাদের তা দেখে কষ্ট না হয়, তবে তাঁদের মালদার বাইরে থাকা উচিৎ। মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতি রহিম বক্সি নিজেকে বড়ো বক্সার মনে করছেন। পুলিশকে সরিয়ে যদি উনি রাস্তায় বেরোন, তবে রিক্সাওয়ালারাও তাঁকে জুতো ছুঁড়ে মারবে। সাবিনা ইয়াসমিন নাকি বলেছেন, এসআইআরে একজনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেলে উনি মোথাবাড়িকে লণ্ডভণ্ড করে দেবেন। সাবিনা ইয়াসমিন যেটা বলছেন, সেটা আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনের কথা। সব জায়গাতেই এরা লণ্ডভণ্ড করার চেষ্টা করবে। ভোটার তালিকার গড়মিল ধরা পড়ে যাওয়ার কারণে দিদির গায়ে এত জ্বালা। আমিত শাহকে উনি মীরজাফর বলছেন। যদি কেউ সত্যিই মীরজাফর হন, তবে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি বাঙালিদের সঙ্গে মীরজাফরগিরি করেছেন।
রাতে মেয়েদের বেরোনো প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌগত রায়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে, ওনারা বাবরের আমলের লোক। টাইম মেশিন থাকলে ওনাদের তাতে চাপিয়ে বাবরের আমলেই পাঠানো উচিৎ।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments