এনআরসি রুখতে প্রয়োজনে প্রাণ দেবে সিপিআইএম
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Sep 21, 2019
- 1 min read
Updated: Aug 13, 2020
'কোনোভাবে বাংলায় এনআরসি করতে দেওয়া যাবে না। এনআরসি রুখতে শুধু গণ প্রতিরোধ নয়! প্রয়োজনে প্রাণ দেবে সিপিআইএম কর্মীরা। এনআরসি করতে গেলে আমাদের বুকের উপর দিয়ে করতে হবে।' শনিবার চাঁচলে সিটুর সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন সিপিআইএম নেতা তথা বিধানসভার পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।

এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলার উপর চোখ রাঙ্গাচ্ছে কেন্দ্র। ফের এনআরসি'র নামে ভয়ঙ্কর বিপদ নামিয়ে আনা হচ্ছে বাংলার বুকে। বাংলা ভাগের প্রবক্তা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। আজ কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি ফের এনআরসি নিয়ে চক্রান্ত শুরু করেছে বাংলায়। অসম থেকে শিক্ষা নিন, এনআরসি রুখে দিন।
এদিকে এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিলেও রাজ্য নেতৃত্বকেও নিশানায় রাখেন সুজন। বলেন, তৃণমূল কাটমানি নিয়ে পঞ্চায়েত, পুরসভা চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে ভয়ংকর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই তত্ত্বের প্রবক্তা রাজ্যের বর্তমানের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি ১৯৯৩ সালে বলে ছিলেন নো আইডেন্টিটি নো ভোট। এনআরসি আসলে কাগজের টুকরো। যাদের কাগজ কম, তাঁদের মুশকিল হয়। গরীব মানুষ গুছিয়ে কাগজ রাখতে পারে না। কারণ তাদের এগুলির কোনও প্রয়োজন হয় না। সব মিলিয়ে এনআরসি নিয়ে বামফ্রন্ট লাগাতার আন্দোলন করবে বলে এদিন ঘোষণা করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি আরও বলেন, এনআরসি'র গুজবে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়েছেন, দুজনের প্রাণও গেছে এই আতঙ্কে। নিজের নথি সংশোধনে কড়া রোদেও ব্লক দপ্তর, ভূমি দপ্তরের সামনে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বামফ্রন্ট ‘গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল’। দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কি কথোপকথন হয়েছে সেটা সবাই জানে। আলোচনা সভা থেকে বের হয়েই মমতা সবাইকে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনোমতেই এনআরসি হচ্ছে না।
Comments