ভাঙন রোধের দাবিতে আন্দোলনে ছাত্র সমাজ
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- Oct 6
- 2 min read
প্রতি বছর বর্ষার মরশুমে সমস্যায় পড়েন ভূতনি চরের বাসিন্দারা। অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও প্রশাসন কখনই শুখা মরশুমে বাঁধের কাজ করে না। বর্ষার সময় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তখনই বাঁধ মেরামতের নামে কোটি কোটি টাকা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। গঙ্গা ফুলহরে ভাঙন রোধের স্থায়ী কাজের জন্য বারবার সরব হওয়ার পরও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। অবশেষে এনিয়ে আন্দোলনের পথে হাঁটতে চলেছে স্থানীয় ছাত্র সমাজ। ইতিমধ্যে চরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বৈঠক করে নিজেদের আন্দোলনের কথা মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন ছাত্ররা৷ ছাত্রদের আন্দোলনকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছেন চরবাসীরাও। উৎসবের মরশুম শেষ হলেই জোরদার আন্দোলনের কথা উঠে আসছে।
সাম্প্রতিক সময় প্রতি বছর গঙ্গা-ফুলহরের জলে বানভাসি হচ্ছে ভূতনি৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার আবেদন করার পরেও স্থায়ী বাঁধের কোনো কাজ করেনি প্রশাসন। এমনকি শুখা মরশুমে বাঁধ মেরামতেরও কাজ করা হচ্ছে না। বর্ষার সময় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, কোটি কোটি টাকা বাঁধ মেরামতের নামে নদীতে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার আন্দোলনে নামছে চরের ছাত্রসমাজ৷ গত ১ অক্টোবর থেকে ছাত্ররা চরের তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় বৈঠক ও মিছিল করে নিজেদের আন্দোলন সংগঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁরা এভাবেই চরবাসীদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন৷

ছাত্র আন্দোলনকারীদের এক প্রতিনিধি নাসিম শেখ জানান, এত বছর ধরে ভূতনিতে গঙ্গা-ফুলহরের ভাঙন চলছে৷ অথচ রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ বহুবার দুই সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। ভাঙন বা বন্যা হলে প্রশাসনিক কর্তারা এসেছেন, দেখেছেন, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি৷ তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আর কোনও আবেদন নিবেদন নয়, আন্দোলন করেই নিজেদের হক আদায় করব৷
আকিব আলম নামে আরেক তরুণ জানান, নদী ভাঙনে প্রতি বছর বহু মানুষ সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে। সমস্ত কিছু হারিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে৷ সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা পর্যন্ত করছে না৷ বাধ্য হয়েই আমরা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিকভাবে আন্দোলন সংগঠিত করা হচ্ছে৷ যে কেউ রাজনৈতিক দলের পতাকা ছাড়া আমাদের আন্দোলনে যোগ দিতে পারেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments