কলকাতায় ট্রলি ব্যাগ থেকে মিলল পড়ুয়ার দেহ, শোকের ছায়া কালিয়াচকে
top of page

কলকাতায় ট্রলি ব্যাগ থেকে মিলল পড়ুয়ার দেহ, শোকের ছায়া কালিয়াচকে

স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। কলকাতার নিউটাউনে থেকে নামী কোচিং সেন্টারে প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন মালদার ১৯ বছরের ছেলে সাজিদ। সেই স্বপ্ন থেকে গেলে অধরা। আজ সকালে ভাড়া বাড়ির খাটের নিচে থাকা ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল সাজিদের দেহ। বন্ধুরা অপহরণকারীদের হাতে সাজিদকে তুলে দিয়েছিল বলে দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন।


কালিয়াচকের বীরনগর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের ১৬ মাইল সংলগ্ন গুরুটোলা গ্রামের বাসিন্দা সাজিদ হোসেন। বাবা মোক্তার হোসেন বীরনগর হাইস্কুলের শিক্ষক৷ স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি বাড়িতে একটি মিশন স্কুলও চালান মোক্তার সাহেব। মা শামিমা খাতুন গৃহবধূ৷ ছোটো থেকেই এলাকার মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন সাজিদ। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। কলকাতার নিউটাউনে চার পড়ুয়ার সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থেকে কোচিং নিচ্ছিলেন সাজিদ। জানা গিয়েছে, গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল সাজিদ। পরিবারের তরফে বৃহস্পতিবার নিউটাউন থানায় মিসিং ডায়ারি করা হয়। আজ সকালে ওই বাড়ি থেকে সাজিদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।



সাজিদের এক আত্মীয় আকলেমা বিবি জানান,

কোচিং নিতে কলকাতায় গিয়েছিল সাজিদ৷ গত পরশু দিন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। রাত আড়াইটের সময় ফোন করে জানানো হয়, সাজিদকে পাওয়া যাচ্ছে না৷ পরে ভগ্নীপতির ফোনে সাজিদের মুখ বাঁধা ছবি পাঠিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়৷ আমার মেয়ে কলকাতায় থাকে। সেদিন রাতেই মেয়ে সাজিদের ভাড়া বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু বাড়িতে কেউ ছিল না। পরে সাজিদের এক বন্ধু জানায়, সাজিদ ওদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। তবে তাদের ফিরে আসার আগেই সাজিদ ফিরে আসে। আমাদের ধারণা সাজিদের খুনের পেছনে ওর বন্ধুদের হাত থাকতে পারে।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page