ধৃত চিনা নাগরিককে আদালতে তুলল এসটিএফ
অনুপ্রবেশের অভিযোগে ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনেইকে আজ জেলা আদালতে পেশ করল এসটিএফ৷ আদালতের অনুমতিতে গত ১৬ জুন এসটিএফ নিজেদের হেপাজতে নিয়েছিল৷ ধৃত হানের বিরুদ্ধে চিনা গুপ্তচর সংস্থার যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে৷ তবে এদিন তাদের তরফে হানকে আর হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
গত ১০ জুন সকালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকার সময় কালিয়াচক-১ নম্বর ব্লকের আকন্দবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের মিলিক সুলতানপুর গ্রাম থেকে হান জুনেইকে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ৷ এই খবরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশ জুড়ে৷ বিএসএফের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, হান একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী৷ তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই লখনউ এটিএস মামলা রুজু করেছে৷ বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা তার খোঁজ চালাচ্ছিল৷ এই খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসে বিএসএফ ও পুলিশ৷ হানের সঙ্গে থাকা ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ড ভাঙার চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু সেসব মান্দারিন ভাষায় থাকায় পুলিশের পক্ষে পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করা সম্ভব হয়নি৷ শেষ পর্যন্ত গত ১৬ জুন আদালতের অনুমতিতে হানকে কলকাতায় নিয়ে যায় এসটিএফ৷ সেখানে মান্দারিন ভাষা বিশেষজ্ঞের সাহায্যে তার ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা হয়৷ সেসব ঘেঁটে দেখা যায়, হান এদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আউটসোর্সিং সংস্থার সিস্টেম হ্যাক করার চেষ্টা করেছিল৷ এতে হানের চিনা গুপ্তচর সংস্থার যোগের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়৷ কারণ, ইংরেজিতে দক্ষ হান আগেই জেরায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছিল, সে অন্তত ১৩০০ ভারতীয় সিমকার্ড চিনে পাঠিয়েছে৷ কিন্তু কেন, তা খোলসা করে বলেনি সে৷
এর আগে হানের সহযোগী সান জিয়াংকে গ্রেপ্তার করেছিল লখনউ এটিএস৷ তারা হানের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করেছে৷ জানা যাচ্ছে, এবার এটিএস জেরার জন্য হানকে নিজেদের হেপাজতে নিতে পারে৷ তবে কবে তারা তার জন্য আদালতে আবেদন জানাবে তা জানা যায়নি৷ আজ এসটিএফ হানকে ফের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন না জানালে আগামী কিছুদিনের জন্য মালদা জেলা সংশোধনাগারেই থাকছে এই চিনা৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments