মেয়েকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার জামাই, তিন নাতনিকে নিয়ে সমস্যায় দাদু-দিদিমা
top of page

মেয়েকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার জামাই, তিন নাতনিকে নিয়ে সমস্যায় দাদু-দিদিমা

মাকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে বাবা। বাবার বাড়ির লোকজন তিন বাচ্চার দায়িত্ব নিতে নারাজ। বাধ্য হয়ে নাতনিদের ঘরে এনেছেন দাদু-দিদিমা। অভাবের সংসারে নাতি-নাতনিদের ঘরে এনে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরাও।


কালিয়াচক-২ ব্লকের কাঁঠালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শ্যামফুল মণ্ডল। প্রায় সাত বছর আগে মেয়ে লিপিকার সঙ্গে দামোদরটোলা গ্রামের পিন্টু মণ্ডলের বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পিন্টু ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করত। বিয়ের পর পিন্টু-লিপিকার তিনটি কন্যাসন্তান হয়। অভিযোগ, পরপর তিন মেয়ের জন্ম দেওয়ায় লিপিকার উপর অত্যাচার শুরু হয়। গত ২ মার্চ রাতে পিন্টু তার স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। লিপিকা যাতে ঘর থেকে বেরোতে না পারে, তার জন্য ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয় পিন্টু। পরিবারের কেউ লিপিকাকে বাঁচাতে আসেনি। চিৎকারে এক প্রতিবেশী তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পিন্টুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সে মালদা জেলা সংশোধনাগারে রয়েছে। লিপিকার তিন মেয়ে চাঁদনি, হাসি আর খুশির দায়িত্ব নিতে রাজি নয় পিন্টুর বাড়ির লোকজন। তিন নাতনিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন দাদু শ্যামফুল।



শ্যামফুলবাবুর স্ত্রী নির্মলা মণ্ডল জানান, পরপর কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় ওরা আমার মেয়েটাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলে। বাচ্চা তিনটে এখন আমাদের কাছে আছে। কিন্তু আমাদের নিজেদেরই খাবারের ঠিক নেই। ওদের এখন কী খাওয়াব, কীভাবে লেখাপড়া করাব, বুঝে উঠতে পারছি না। যদি কোনোরকম সাহায্য মেলে তবে এই বাচ্চাদের মানুষ করতে সুবিধে হবে।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page