ছেলের ভোটার কার্ড থাকলেও নেই বাবার, চিন্তায় এলাকার একাধিক
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- 2 hours ago
- 1 min read
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতবর্ষে এসেছিলেন। প্রায় আশি বছর বয়সী ওই ব্যক্তির আধার কার্ড, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলেও ভোটার কার্ড নেই। অথচ তাঁর ছেলের নাম ভোটর তালিকায় রয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন ওই বৃদ্ধ। শুধু তিনিই নন আতঙ্কে রয়েছেন ওই এলাকার একাধিক মানুষ। ঘটনাটি পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার।
আশির্ধ্বো ওই ব্যক্তির ছেলের জন্ম হয়েছে ভারতবর্ষে। বাবার ভোটার কার্ড না থাকলেও ভারতে জন্ম নেওয়া ছেলেটার ভোটার কার্ড হয়ে গিয়েছে। ওই ব্যক্তি জানাচ্ছেন, ভোটার কার্ডের জন্য প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত করেছেন। কিন্তু এক পার্টি নাম তুললে অন্য পার্টি নাম কেটে দেয়। আধার, প্যান কার্ড, ব্যাংকের পাশবই, বাড়ির দলিল, চৌকিদারি করের রিসিপ্ট সহ আরও অনেক কাগজ আছে৷ শুধু ভোটার কার্ডটাই নেই৷ তাঁর মতো অনেকেরই নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই। এসআইআর নিয়ে তাঁরা সকলেই আতঙ্কিত।
এমনই সমস্যায় থাকা আরেক বাসিন্দা জানান, তিনি ছোট থেকে এখানেই মানুষ হয়েছেন৷ এদেশের প্রাথমিক ও হাইস্কুলে পড়েছেন৷ ২০০৫ সালে ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ওঠে। এসআইআর করতে গিয়ে তালিকা থেকে নাম কাটা পড়বে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তিনি৷

ওই এলাকার বিএলও জানান, এই বুথ একেবারে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া৷ এখানে অনেক মানুষ ওপার থেকে এসেছেন৷ এদের মধ্যে কিছু মানুষের নাম ভোটার তালিকায় নেই৷ ২০০২ সালে এই বুথে এক হাজারের কাছাকাছি ভোটার ছিলেন৷ একটা গ্রাম আলাদা হয়ে গিয়ে বর্তমানে এই বুথের ভোটার সংখ্যা ১১৮০৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments