মন্দির মসজিদের খেলা শুরু করে মানুষকে প্রতারিত করছে সরকার: সোমেন
top of page

মন্দির মসজিদের খেলা শুরু করে মানুষকে প্রতারিত করছে সরকার: সোমেন

উপনির্বাচনের প্রচারে এসে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র৷ বললেন, দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার পুরোনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে৷ আর সেই সময় সরকার রাম মন্দির আর বাবরি মসজিদের খেলা শুরু করে মানুষকে প্রতারিত করছে৷ তাদের দোসর হয়েছে এই রাজ্যের সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী রাজীব কুমারের গ্রেফতারি এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর শরণে যাচ্ছেন৷ কিন্তু রাজ্যের উন্নতির জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে পারছেন না৷


আগামী ২৫ নভেম্বর রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে৷ তার মধ্যে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ৷ আজ কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সেখানে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলীয় নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবদুল মান্নান ও আবদুস সাত্তার৷ কালিয়াগঞ্জ যাওয়ার আগে সোমেনবাবু বলেন, আমরা ভোটে কটা সিট পাব জানি না৷ আমরা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লড়াইয়ে নেমেছি৷ আমাদের লক্ষ্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, ধর্মনিরপেক্ষতা আর মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া৷ এই লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে রয়েছে বামফ্রন্ট৷ বিজেপি ও তৃণমূলকে তাড়াতে আমরা অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক দলগুলিকেও জোটে আহ্বান করছি৷

আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্র, প্রতি ক্ষেত্রে দ্বিচারিতা করা৷ তাই তিনি অভিযুক্ত রাজীব কুমারের গ্রেফতারি এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর শরণ নেন৷ কিন্তু রাজ্যের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনো আবেদন জানান না৷ তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ মালদার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সমস্যা সমাধান করা তাঁর দায়িত্ব৷ নিজের সেই দায়িত্ব এড়িয়ে তিনি সাংসদদের দোষ দিতে ব্যস্ত৷ একইভাবে যখন দেশে বেকারত্ব ৪৫ বছরের রেকর্ড পার করেছে, জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, তখন কেন্দ্রের সরকার রাম মন্দির আর বাবরি মসজিদ নিয়ে মেতে রয়েছে৷ তারা আসলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে৷ রাম মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে আমরা তা মাথা পেতে নিচ্ছি৷ কিন্তু এই ইশ্যুতে আসল রায় দেবে মানুষ৷ আমরা তারই অপেক্ষায় রয়েছি৷

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page