top of page

ফুলহর নদীর তীর থেকে চুরি হচ্ছে মাটি, ভাঙনের আশঙ্কা গ্রামে

রতুয়ার পর মাটি চুরির অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুরে। সেখানেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মদতে মাটি মাফিয়ারাজ চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এভাবে মাটি কাটা চলতে থাকলে বর্ষায় ভয়ানক ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মদতে হরিশ্চন্দ্রপুর-বিহার সীমান্তবর্তী লাগোয়া উত্তর ভাকুরিয়া অঞ্চল সংলগ্ন ফুলহর নদী তীর থেকে মাটি-বালি চুরি হচ্ছে। একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনও ফল মিলছে না। পুরো ঘটনায় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বর্ষায় বন্যার পাশাপাশি ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।


স্থানীয় এক বাসিন্দা বীরেন মণ্ডল জানান, বিহারের লোক এসে নদী তীর থেকে মাটি চুরি করছে। বিহারে নিয়ে গিয়ে সেই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য মিলিতভাবে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। পুলিশেরও এই কারবারের সঙ্গে কমিশন আছে। জনপ্রতিনিধি-পুলিশ মিলে যখন এই কাজ করছে, তখন সাধারণ মানুষ কি করবে? প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এভাবে মাটি চুরির ফলে প্রতিবছর বন্যা-ভাঙন হচ্ছে। যেভাবে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে ফের বন্যা হবে। এলাকার মানুষ আবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পুলিশ-পঞ্চায়েত সদস্যের সামনে মাটি কাটা চলছে। পুলিশ যদি কমিশন না নেয় তবে কি পুলিশের সামনে মাটি কাটতে পারে?



ইসলামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান মাসুমা বিবির স্বামী আবুল কালাম আজাদ জানান, মাটি চুরির বিষয়টি জানা ছিল না। যদি দলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকে তবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Kommentare


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page