ভেজাল সার বিক্রির অভিযোগে সিল দোকান-গুদাম ঘর
ভেজাল সার বিক্রির অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে সারের দোকানে হানা দেয় প্রশাসনের একটি দল। প্রশাসনিক তল্লাশিতে মেলে ভেজাল সারও। অবশেষে একটি দোকান সহ তিনটি গুদাম সিল করে দেন প্রশাসনিক কর্তারা। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের করিয়ালি রাজেশ্বর মোড় এলাকায়৷ এদিকে এই ঘটনার পর জেলার কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷
প্রশাসনের কাছে খবর আসে, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের করিয়ালি রাজেশ্বর মোড়ে সারের দোকান থেকে ভেজাল সার বিক্রি করা হচ্ছে। ওই দোকানের মালিক রাশেদ আলির সঙ্গে বড়ো বড়ো রাজনৈতিক নেতাদের ওঠাবসা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনের একটি দল সারের দোকানে হানা দেয়। বিডিও তাপস পালের নেতৃত্বে, কৃষি আধিকারিক প্রভাত উৎপল আচার্য সহ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ওই দোকানে তল্লাশি অভিযান চালায়। হানা দেওয়া হয় রাশেদ আলির গুদামেও। গুদামেও মেয়াদ উত্তীর্ণ সারের বস্তা পাওয়া যায়। সেখানে ভেজাল সার প্যাকেট করার প্রমাণও পান আধিকারিকরা। যদিও মালিকপক্ষের কর্মীদের অসহযোগিতায় রাশেদ আলির আরও তিনটি গুদামে তল্লাশি চালাতে পারেনি ওই প্রতিনিধি দল। তবে ওই দোকান সহ তিনটি গুদাম সিল করা হয়েছে।

বিডিও তাপস পাল জানান, এলাকার লোকজনের কাছ থেকে এই দোকান সম্পর্কে অভিযোগ আসছিল। অভিযোগ যাচাই করতেই এখানে এসেছিলাম। এই সারের দোকান ও গুদামে বেশ কিছু গোলমাল রয়েছে। দোকান ও গুদাম থেকে কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেছি৷ সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে৷ আমরা দোকান ও গুদাম সিল করতে বাধ্য হয়েছি৷ আরও কয়েকটি গুদামের চাবি না থাকায় সেখানে তল্লাশি চালানো যায়নি। এনিয়েও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷
সহ কৃষি অধিকর্তা প্রভাত উৎপল আচার্য বলেন, এখানে স্টকের গরমিল বেশ ভালোই রয়েছে৷ আমরা তিনটি গুদাম দেখেছি৷ আরও তিনটি গুদামের চাবি মালিকপক্ষ দিতে পারেনি৷ তিনটি গুদামে প্রচুর ফসফেট, পটাশ ও ইউরিয়া মজুত রয়েছে৷ পশ মেশিনের সঙ্গে মজুত মালের হিসাব মিলছে না৷ এখানে জাল সারের অভিযোগও রয়েছে৷ তাই আমরা গুদামগুলি থেকে সার ও কীটনাশকের নমুনা সংগ্রহ করেছি৷ তিনটি গুদাম সিল করা হচ্ছে৷ মালিককে শো-কজ করা হবে৷ তিনি গরমিলের ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান ও গুদামগুলি সিল থাকবে৷
সার ব্যবসায়ী রাশেদ আলির ভাই জিয়াউল হক জানান, মেশিনের সঙ্গে স্টকের হিসাব না মেলার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা এসেছিলেন৷ আর এলাকার সমস্ত সারের দোকানেই আধার কার্ড ছাড়া মাল দেওয়া হয়৷ তাই আমরাও দিয়েছি৷ এতেই স্টকের হিসাবে গোলমাল হয়েছে৷ সারের দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ সার থাকা তেমন কিছু বিষয় নয়। কারণ, সেই সার কাউকে দেওয়া হয়নি। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় তা রেখে দেওয়া হয়েছিল।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments