খুনের প্রত্যক্ষদর্শীকে প্রাণে মারতে শ্যুট আউট
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- 21 minutes ago
- 1 min read
তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় মূল সাক্ষীকে প্রাণে মারতে শুট আউট মালদায়। একটু দূর থেকে গুলি চালানোয় গুলিবিদ্ধ হলেও প্রাণে বেঁচেছেন ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম আতিমুল মোমিন (৩৩)। বাড়ি ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত অমৃতির বানিয়াগ্রাম এলাকায়। আতিমুল এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত। উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই রাতে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূলের গ্রামীণ নেতা আবদুল কালাম আজাদকে (৩৪)। সেই সময় গুরুতর আহত হয়েছিলেন আতিমুল মোমিন সহ আরও দুজন। সেই ঘটনায় পুলিশ তৃণমূলি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মাইনুল শেখকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি জেল হেপাজতে রয়েছেন। অভিযোগ, সেই ঘটনার মূল সাক্ষী আতিমুল মোমিনকে আদালতে বয়ান দেওয়ার আগেই রাস্তা থেকে সরাতে রবিবার রাতে হামলা চালানো হয়। গতকাল রাতে কানাইপুর গ্রামে নির্মীয়মান বিল্ডিং দেখাশোনার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন আতিমুল। সেই সময় মাইনুলের ছেলে সহ আরেকজন মোটরবাইকে এসে আতিমুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আতিমুলের পিঠে গুলি লাগে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে মেডিকেলে ছুটে আসে ইংরেজবাজার থানার পুলিশও।

মেডিকেলে চিকিৎসার পর আজ বাড়ি ফিরেছেন আতিমুল। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেছেন, আবদুল কালাম আজাদকে খুনের সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় তিনি প্রত্যক্ষদর্শী। আদালতে বয়ান দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। আদালতে বয়ান দেওয়ার আগেই তাঁকে মেরে ফেলতে গুলি চালানো হয়েছে। গতকাল রাতে মাইনুলের ছেলে ও আর একজন মোটরবাইকে করে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই ঘটনার পর তাঁরা আরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments