পুর বৈঠক নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, পরিসেবা ব্যহত হওয়ার দাবি কাউন্সিলরদের
top of page

পুর বৈঠক নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, পরিসেবা ব্যহত হওয়ার দাবি কাউন্সিলরদের

পুরসভার বিবাদে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক পরিসেবা। মঙ্গলবার ইংরেজবাজার পুরসভার বৈঠকের পর এমনই মন্তব্য করলেন একাধিক কাউন্সিলর। এদিনের বৈঠককে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পুরসভায়। উল্লেখ্য, গতবছর, বাজেট পেশ হওয়ার পর এদিন বিওসির বৈঠক ডাকেন চেয়ারম্যান। এদিন বৈঠক শুরু হতেই একের পর এক প্রশ্ন উঠতে থাকে। বৈঠকের পরে ভাইস চেয়ারম্যান সহ একাধিক কাউন্সিলরের দাবি এদিনের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বৈঠক সঠিকভাবে হয়েছে বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ।



ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, এদিনের বৈঠকের চিঠিটাই অবৈধ ছিল৷ তাই এদিনের সভা বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বৈঠক ডাকা হবে৷ ২০১৭ সালে এক কাউন্সিলরের সদস্য পদ খারিজ হয়ে গেছে৷ কিন্তু পুরসভা ২০১৮ ও ২০১৯ সালের বৈঠকে তাঁকে বৈধ দেখিয়েছে৷ নতুন এগজিকিউটিভ অফিসার ওই কাউন্সিলরকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন৷

প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি জানান, এই বৈঠক পুরোপুরি বেআইনি৷ দুটো বাজেট মিটিং আর এক বছরের বোর্ড মিটিং একসঙ্গে হতে পারে না৷ পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার লিখিতভাবে জানিয়েছেন, বর্ণালি হালদারের কাউন্সিলর পদ খারিজ হয়ে গেছে৷ চেয়ারম্যান বাজেট পাশ না করিয়েও বিভিন্ন কাজের জন্য চেক ইশ্যু করছেন৷ চেয়ারম্যান কোনও আইন মানেন না৷ ওনার জন্য পুরসভার উন্নয়ন থমকে গেছে।


যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, বৈঠক ভেস্তে যায়নি৷ আজকের বৈঠকে ২৭ জনের মধ্যে ১৮ জন কাউন্সিলর কোনও শর্ত ছাড়াই স্বাক্ষর করেছেন৷ ৯ জন অভিযোগ সহকারে স্বাক্ষর করেছেন৷ সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর যখন মিটিং বুকে স্বাক্ষর করেছেন, তখন বৈঠক বৈধ বলেই গণ্য করা হয়।

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page