বন্ধ পড়াশোনা, রাঁধুনিদের ঝগড়ায় তালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
top of page

বন্ধ পড়াশোনা, রাঁধুনিদের ঝগড়ায় তালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল রান্নার দাবি জানিয়ে স্কুলে তালা মেরে দিল সাতটি স্বনির্ভর দলের মহিলারা। বাধ্য হয়ে স্কুলে এসেও ফিরে যেতে হয় খুদে পড়ুয়াদের।


সমস্যার সমাধানের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে বিডিও অফিসে আলোচনায় বসেছেন। বিডিও জানিয়েছেন, আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামীকাল থেকে স্বাভাবিকভাবেই স্কুল হবে বলেও আশাবাদী তিনি। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাজোলের দেওতলা অঞ্চলের বাজে মোলানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।


জানা গেছে, বাজে মোলানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিড-ডে-মিল রান্নার কাজ করে আসছে কাবেরী নামে একটি স্বনির্ভর দলের মহিলারা। কিন্তু সম্প্রতি ওই এলাকার আরও সাতটি দল রান্নার কাজ করার দাবি জানিয়েছে। এর আগেও রান্না করার দাবি জানিয়ে স্কুলে তালা মেরে দিয়েছিল ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সেই সময় আলোচনার মাধ্যমে স্কুলের পঠনপাঠন স্বাভাবিক করা হয়। আজ সকাল ফের তালা মেরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গাজোল থানার পুলিশ। পরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বিডিও। (#MidDayMeal)


দীর্ঘদিন রান্নার কাজের সাথে যুক্ত থাকা কাবেরী দলের অনিমা ভুঁইমালী জানান, গত ১৭ বছর ধরে তাঁরা এই কাজ করে আসছেন। দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে রোদ ঝড় বৃষ্টি মাথায় করে রান্না করে এসেছেন তাঁরা। সেই সময় ঠিকমতো পারিশ্রমিক ও পেতেন না। কষ্ট করে রান্নার কাজ করে গেছেন তাঁরা। এখন কাজ ভালোভাবে চলছে। ৪০০ টাকা থেকে পারিশ্রমিক তিন হাজার টাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এতেই হিংসা বেড়েছে অন্যান্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। আমাদের কাজ থেকে সরিয়ে দিয়ে ওরা রান্না করতে চাইছে। কিন্তু আমরা কিছুতেই এই কাজ ছেড়ে দেব না। প্রয়োজনে আমরাও আন্দোলনে নামবো।



অন্যদিকে কাজ করতে চাওয়া মহিলা স্বনির্ভর দলগুলির দাবি, রান্নার কাজের জন্য সব দলকেই নিতে হবে। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সব দলকে দিয়েই করাতে হবে রান্নার কাজ। এর ফলে উপকৃত হবেন সব দলের মহিলারাই। এর আগেও কাজ করতে চেয়ে তাঁরা আবেদন জানিয়েছিলেন। বিধায়কের কাছেও আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়ে স্কুলে তালা মেরে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে তাঁরা।


আবদুল লতিফ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক

মিড ডে মিল রান্না নিয়ে মাঝেমধ্যেই গণ্ডগোল হচ্ছে। বেশকিছু স্বনির্ভর মহিলা দল রান্না করবে বলে চাপ দিচ্ছে। এর আগেও একবার তালা মেরে দেওয়া হয়েছিল। এদিন ওই স্কুলে তালা মেরে দেয়। আমরা বিকল্প চাবি দিয়ে তালা খুলে স্কুল শুরু করি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই মহিলারা আবার এসে আমাদের বের করে দিয়ে তালা মেরে দেয়। সমস্ত ঘটনা বিডিও এবং এসআইকে জানানো হয়েছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে বিডিও নবীন চন্দ্রা জানান, মিড ডে মিল রান্না করা নিয়ে মহিলা স্বনির্ভর দলগুলির মধ্যে একটা বিরোধ বেঁধেছে। সব পক্ষকেই অফিসে ডাকা হয়েছে। সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।





মালদা জেলার খবর ও বিনোদনের লেটেস্ট ভিডিয়ো আপডেট পেতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page