ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার কোনোটাই হওয়ার ইচ্ছে নেই সপ্তর্ষি’র
top of page

ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার কোনোটাই হওয়ার ইচ্ছে নেই সপ্তর্ষি’র

বাবা মশালদহ হাইস্কুলের ইংরেজি ভাষার শিক্ষক৷মা সাধারণ গৃহবধূ৷সেই ভাগবত রায় ও রুমা রায়ের একমাত্র ছেলে সপ্তর্ষি এবার উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে৷আজ সকালে টেলিভিশনে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরেই আনন্দে ভাসছে গাজোলের শিক্ষকপল্লির বাসিন্দা এই ছেলেটি৷দাদার এমন ফলে গর্বিত সপ্তর্ষির একমাত্র বোন শাশ্বতীও৷সে স্থানীয় শ্যামসুখী গার্লস হাইস্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে৷সে'ও দাদার মতো ক্লাসে প্রথম হয়৷


Saptarshi Roy, Gazole

সপ্তর্ষি এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৯০ নম্বর পেয়েছে৷সে বাংলায় ৮৭, ইংরেজিতে ৯৯, রসায়নে ৯৭, অংকে ৯৮, পদার্থবিদ্যায় ৯৮ ও জীববিজ্ঞানে ৯৮ নম্বর পেয়েছে৷স্কুলের পড়াশোনার সঙ্গে ৫ জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করেছে সে৷নিজের সাফল্যের জন্য সে আজ তার শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ৷সে জানায়, পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে সে৷বাংলা সাহিত্যে তার পছন্দ সত্যজিৎ রায়৷এখন সে ইংরেজি সাহিত্যে ডুবে রয়েছে৷পড়ার ফাঁকে সময় পেলে নিজেও গল্প লেখে৷সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা রাজনীতি তার না পসন্দ৷


বড়ো হয়ে সে অংকে গবেষণা করতে চায়৷ তবে পরীক্ষা দিতে ভালো লাগে বলে সে জয়েন্ট এনট্রান্সে বসেছে৷ যদিও ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কোনও ইচ্ছেই নেই তার৷


তবে এবার টেস্টে এতটা ফল হয়নি সপ্তর্ষির৷সে জানায়, পরীক্ষা ভালো দিয়েছিল সে৷ভেবেছিল ৪৭০ থেকে ৪৭৫ নম্বর পাবে৷টেস্টে এর থেকেও ফল খারাপ হয়েছিল৷কিন্তু সেখানে যে ৪৯০ নম্বর চলে আসবে, সেটা ভাবেনি সে৷মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও তার ফল খুব একটা খারাপ হয়নি৷ওই পরীক্ষায় সে ৯৬.৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে ১৪তম স্থানে ছিল৷


ছবিঃ পঙ্কজ ঘোষ


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page