মমতা-শুভেন্দুর আঁতাতে সঠিক সময়ে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আশঙ্কা সেলিমের
top of page

মমতা-শুভেন্দুর আঁতাতে সঠিক সময়ে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আশঙ্কা সেলিমের

একাধিক ইস্যুতে আজ বিজেপি ও তৃণমূলকে বিঁধলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহম্মদ সেলিম৷ দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে মালদায় এসে তিনি আজ রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসকদলের উদ্দেশ্যে একের পর এক তোপ দাগেন৷ কটাক্ষ করেন মমতা-শুভেন্দু আঁতাত নিয়ে৷ আজ তাঁর আক্রমণ থেকে রেহাই পাননি বিধানসভা ও লোকসভার স্পিকার থেকে শুরু করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানও৷


Salim-concerned-about-Panchayat-vote-at-right-time
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহম্মদ সেলিম। নিজস্ব চিত্র।

সেলিম আজ বলেন, ‘এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন আমাদের কাছে বড়ো চ্যালেঞ্জ৷ তার জন্য আমরা কয়েক মাস থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি৷ সাগরদিঘি উপনির্বাচনের সময় থেকেই আমরা তৃণমূল-বিজেপি বিরোধীকে একজোট করার চেষ্টা করে যাচ্ছি৷ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ চালাচ্ছি৷ তাতে ফলও মিলেছে৷ ভয় আর সন্ত্রাসের পরিধি থেকে বেরিয়ে এসে মানুষ এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে৷ এভাবে কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার পর্যন্ত মানুষকে একজোট করতে পারলেই আমরা রাজ্য থেকে চোরদের তাড়াতে পারব৷ এখন গোটা রাজ্যটাই চোরেদের দখলে চলে গিয়েছে৷ তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে প্রশাসনিক আমলাদের একাংশও৷ শুধু শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়নি, যে কোনও বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে৷ কয়লা, বালি, গোরুপাচারে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছেন বিডিও-এসডিওরা৷ আর এসব তোলাবাজি থেকে প্রতিদিন এক কোটি টাকা কালীঘাটে গিয়েছে৷’

সেলিম বলেন, ‘আজ যারা বিজেপির নেতা, তারা একসময় তৃণমূলে ছিল৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তারা মমতার কথায় ভোট লুট করেছে৷ মালদা, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তো টিকিট বিলিতেও বাক্স ভরতি টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন৷ এখন ফের ওই দুই দল কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে৷ নবান্নে বৈঠক হচ্ছে৷ আলোচনা চলছে বিধানসভাতেও৷ কিন্তু তারা আর হালে পানি পাচ্ছে না৷ সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে৷ তবে পঞ্চায়েত ভোট নির্দিষ্ট সময়ে হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে৷ মমতা হয়তো শুভেন্দুকে ডেকে বলে দেবেন কোর্টে একটা মামলা করে দিতে৷ যেভাবে দুই দল একজোট হয়ে মানিকতলা কেন্দ্রের উপনির্বাচন বন্ধ করে রেখেছে, পঞ্চায়েতেও সেটাই না হয়৷’

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের তোপ থেকে বাঁচেননি লোকসভা-বিধানসভার স্পিকাররাও

'শুনেছি বিধানসভার স্পিকার একজন উকিল৷ তিনি বটতলার উকিল কিনা জানি না৷ তবে তিনি আইন জানেন না৷

তিনি আরও বলেন, বিধানসভা কিংবা লোকসভায় এখন দলত্যাগ বিরোধী আইন লাগু হয় না৷ দুই স্পিকারই প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকেন৷ তাঁরা কিছু বললে মন্তব্য করেন, নইলে চুপ করে থাকেন৷ বিধানসভার স্পিকার এখন বায়রন বিশ্বাস নিয়ে অনেক কথা বলছেন৷ এসব বলে তিনি নিজেকের তৃণমূলের চামচা হিসাবে প্রমাণিত করেছেন৷ তিনি বরং সংবিধান মেনে বিধানসভা পরিচালনা করুন৷’


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page