শাসকদলের জনপ্রতিনিধি এলাকার বিএলও, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিডিওকে অভিযোগ
top of page

শাসকদলের জনপ্রতিনিধি এলাকার বিএলও, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিডিওকে অভিযোগ

শাসকদলের বর্তমান জনপ্রতিনিধি আবার এলাকার বিএলও। এমনই অভিযোগে ওই বিএলও-কে অপসারণের দাবিতে স্থানীয় বিডিও অফিসে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিআইএম। ঘটনাটি মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের ১৫৬ নম্বর বুথের। যেখানে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় বলা রয়েছে কোনও জনপ্রতিনিধিকে বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না, সেখানে এই ঘটনার ঘটনার অভিযোগ তুলে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবিরগুলি।


এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মতিউল আনসারি। তিনি তৃণমূলের টিকিটে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তিনি আবার পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক। তিনিই আবার ওই এলাকার ১৫৬ নম্বর বুথের বিডিও। ঘটনা প্রসঙ্গে মতিউল আনসারি জানান, ২০১০ সাল থেকে শিক্ষকতা করছি৷ ২০১৪ সালে আবার আমাকে ১৫৬ নম্বর বুথে বিএলও’র দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ তখন আমি পঞ্চায়েত সদস্য ছিলাম না৷ নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ না করলে ব্লক প্রশাসন আমাকে এই দায়িত্বে রাখত না৷ তবে ব্লক প্রশাসন চাইলে আমাকে এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতেই পারে৷ আমার তাতে আপত্তি নেই।


ree

বিষয়টি জানতে পেরেই মানিকচক ব্লকের বিডিও দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সিপিআইএমের মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের ইনচার্জ দেবজ্যোতি সিনহা৷ তিনি জানান, ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এর কাজ শুরু হয়েছে৷ নির্বাচনি কাজকর্মে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে৷ অথচ বিএলও তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ১৫৬ নম্বর বুথে বিএলও হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক মতিউল আনসারিকে৷ তিনি ওই ১৫৬ নম্বর বুথেরই তৃণমূলের প্রতীকে জেতা নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য৷ তিনি বিএলও হিসাবে কাজ করলে কাজের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।


কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ইশা খান চৌধুরী জানান, খবর পেয়েছি, মানিকচকের একজন বর্তমান গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে বিএলও করা হয়েছে৷ এতে তাঁর কাজের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে৷ এনিয়ে আমরা জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক সহ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করব৷


বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তৃণমূল প্রচুর অস্থায়ী কর্মীদের নাম বিএলও তালিকায় ঢুকিয়েছিল৷ এঁরা যে প্রভাবিত হয়ে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করবেন না সেটাই স্বাভাবিক৷ তৃণমূল ক্ষমতায় টিকে থাকতে এধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page