পচা ডিমের ঘটনায় এবার কর্মী, রাঁধুনির পাশাপাশি তালাবন্দি সুপারভাইজারও
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগে গতকালই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। অভিযোগ, সেই ডিম খেয়েই দুটি বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই ঘটনার তদন্তে আজ গ্রামে যান অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার। কর্মী-রাঁধুনির সঙ্গে তাঁকেও তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ক্ষিপ্ত অভিভাবকরা৷ অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিডিপিও৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর গ্রামে৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই গ্রামের ৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বাচ্চা ও প্রসূতিদের ঠিক মতো খাবার দেওয়া হয় না৷ এনিয়ে এর আগেও সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কেন্দ্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি। গতকাল ওই কেন্দ্র থেকে পচা ডিম দেওয়া হয়েছিল৷ এক বাচ্চা সেই ডিম বাড়িতে নিয়ে যায়। ডিম ছাড়িয়ে দেওয়ার সময়ই বোঝা যায় ডিমটি পচা। কিন্তু বাচ্চা কাঁদতে থাকায় পরিবারের লোকজন সেই ডিম বাচ্চার হাত থেকে কেড়ে নেননি। সেই ডিম খাওয়ার পর বিকেল থেকে বাচ্চার শরীর খারাপ৷ আজ ঘটনার তদন্তে সুপারভাইজার এলে তাঁকে আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সুপারভাইজার রুমি মণ্ডল জানান,
গত কালকের ঘটনার ভিত্তিতে দফতরের নির্দেশে তদন্ত করতে এসেছিলাম৷ কিন্তু আমার কোনও কথা না শুনে গ্রামবাসীরা আমাকে তালাবন্দি করে রেখেছে৷ আমি সিডিপিওকে খবর দিয়েছি৷
সিডিপিও আবদুল সাত্তার জানান,
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটি জানতে পেরেছি৷ এই সেন্টারের কর্মীকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হচ্ছে৷ পাশাপাশি এখানে আমি মেনু চার্টও টাঙিয়ে দেওয়া হল৷ ওই চার্ট দেখে গ্রামবাসীরা প্রতিদিনের খাবারের বিষয়টি জানতে পারবেন৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Kommentare