মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে ডাকাতি, আতঙ্ক চাঁচলে
মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা চাঁচলে। আলমারি ও লকার থেকে নগদ তিন লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না লুঠ করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। এদিকে, এমন দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
চাঁচলের মকদুমপুর গ্রামপঞ্চায়েতের আশ্বিনপুর এলাকার বাসিন্দা মানোয়ার হোসেন। তিনি মাছের ব্যবসা করেন। অভিযোগ, গতকাল রাত দুটো নাগাদ ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল ছাদের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ঘরে ঢুকেই মানোয়ার সাহেবের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে দুষ্কৃতীরা। লকার ও আলমারির চাবি হাতিয়ে নগদ তিন লক্ষ টাকা ও ছয় ভরি সোনার গয়না হাতিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর মাথায় আঘাত করে মানোয়ার সাহেবকে অচৈতন্য করে বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে নিয়ে গিয়ে ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ভোর রাতে মানোয়ার সাহেবের বাড়িতে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চাঁচলের এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল, চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডুও।
মানোয়ার হোসেন জানান,
তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে বাড়িতে থাকেন। গতকাল মধ্যরাত্রে ছাদ হয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাদের প্রত্যেকের মুখে কাপড় বাধা ছিল। তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে আলমারি ও লকারের চাবি হাতিয়ে আলমারি, লকার খুলে সর্বস্ব লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতী দল।
অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। এদিকে, ঘটনার জেরে এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দিনের পর দিন এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে মানুষ শান্তিতে থাকবে কীভাবে? বিষয়টির দিকে পুলিশের নজর দেওয়া উচিত।
[ আরও খবরঃ ছন্দে ফিরছে বইমেলা, প্রস্তুতি জোরকদমে ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments