পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি রাস্তা, টাকা উধাওয়ের আশঙ্কা গ্রামবাসীর
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- 24 minutes ago
- 2 min read
পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ৷ দেখা মেলে না ঠিকাদার সংস্থারও। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা সংস্কারের বরাদ্দ টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উত্তর সাহাপুর থেকে রতুয়ার ধোবি মোড় পর্যন্ত গিয়েছে এই রাস্তা৷ রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার৷ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর যানবাহন চলাচল করে৷ অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এই রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত দপ্তরেও আবেদন জানান। অবশেষে স্থানীয় মানুষের দাবি মেনে প্রায় পাঁচ বছর বেশি আগে রাস্তাটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা পরিষদ৷ এই কাজের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বরাদ্দ হয় ২ কোটিরও বেশি টাকা৷ টেন্ডারের পর বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার কাজও শুরু করে। কিন্তু ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হতেই সমস্যা দেখা দেয়। রাস্তা পড়ে থাকা ইট-বালি-পাথর উঠিয়ে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। কাজের বোর্ডও আর দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা মনু আনসারি জানান, সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার এক কিলোমিটার রাস্তা পাঁচ বছর আগে হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু বাকি রাস্তার কাজ আর হয়নি। মাঝেমধ্যে ইট-বালি-পাথর পড়ছে, ফের উঠিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে৷ ঠিকাদার নাকি সরকারের গাফিলতির জন্য এই পরিস্থিতি, তা আমাদের জানা নেই।

আরেক স্থানীয় শচীন সরকার জানান, শুনেছি, এটা ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকার কাজ৷ অথচ কাজের বোর্ড কোথাও লাগানো হয়নি৷ কাজের শিডিউল কেউ দেখতে পায়নি৷ আমার মেয়ে এই গ্রামের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য৷ মেয়েও কাজের শিডিউল দেখতে পায়নি।
পঞ্চায়েত সদস্য মৌসুমি সরকার জানান, পাঁচ বছর ধরে এই রাস্তার কাজ শেষ হয়নি৷ বিষয়টি পঞ্চায়েত, ব্লক অফিসে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি৷
রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সুব্রত বাউল জানান, কাজটা যাতে তাড়াতাড়ি শেষ করতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব৷ প্রয়োজনে পুরোনো এজেন্সি বদলে অন্য এজেন্সিকে দিয়ে কাজ করানো হবে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments