বন্যার ত্রাণ দিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল যুবক
top of page

বন্যার ত্রাণ দিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল যুবক

বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রচুর মানুষ। বাপ্পাও তাঁদের মধ্যে একজন। কিন্তু এই সমাজসেবার নেশাই কাল হয়ে দাঁড়াল বাপ্পার৷ বন্যাদুর্গত মানুষকে ত্রাণ দিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হল৷ মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গাজোল জুড়ে৷ যদিও বাপ্পার বাবা শোকের মধ্যেও ছেলের জন্য গর্বিত বোধ করছেন।

গাজোলের বিবেকানন্দ পল্লির ছেলে বাপ্পা কর্মকার। বয়স ৩০৷ ছোটোখাটো ব্যাবসা করতেন তিনি৷ বাবা রবীন্দ্রনাথ কর্মকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী৷ তাঁর দুই ছেলে৷ বাপ্পা ছোটো৷ বছর দুয়েক আগে তাঁর বিয়েও হয়৷


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটো থেকেই বাপ্পার সমাজসেবার দিকে ঝোঁক ছিল৷ এলাকার কারোর কিছু হলে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়তেন৷ সেই অভ্যেস বজায় রয়েছে এখনও৷ ভয়াবহ বন্যায় এবার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত জেলা৷ বিশেষ করে উত্তর মালদায় বন্যার প্রকোপ অনেক বেশি৷ কয়েকদিন ধরেই উত্তর মালদার দুর্গত মানুষজনকে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ করছিল বিবেকানন্দ পল্লির একটি ক্লাব৷ সেই ক্লাবের সদস্য ছিলেন বাপ্পাও৷ প্রতিদিন তিনিও অন্যান্যদের সঙ্গে সেই ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলেন বন্যার্তদের কাছে৷

বৃহস্পতিবার বিকেলেও একটি ট্র্যাক্টরে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আলাল এলাকায় যাচ্ছিলেন তিনি৷ মাতইল গ্রামের কাছে চলন্ত ট্র্যাক্টর থেকে পড়ে যান তিনি৷ গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর মাথায়৷ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চিকিৎসকরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন৷ মালদা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, বাপ্পার মস্তিষ্কে প্রবলভাবে রক্তক্ষরণ হচ্ছে৷ তাঁকে কলকাতা নিয়ে যেতে হবে৷ রাতে তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন পরিবারের লোকজন৷ কিন্তু রাস্তাতেই মৃত্যু হয় বাপ্পার৷ মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা হয় মালদা মেডিক্যালে৷ এদিন তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে৷

এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই গোটা গাজোল জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷ তার মধ্যেও রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, মানুষের সেবা করতে গিয়ে মারা গিয়েছে তাঁর ছেলে৷ শোকের মধ্যেও তিনি ছেলের জন্য গর্বিত৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page