স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার
top of page

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে রতুয়া থানার পুলিশ মৃত বধূর সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে গ্রেফতার করল। বুধবার ৭ দিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে এদিন চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।


গত ১২ নভেম্বরের ঘটনা - সেদিন রাতে নিজের ঘরে খুন হন রতুয়ার খুশবু ঘোষ। তাঁর স্বামী সনাতন ঘোষ পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। পরের দিন সনাতন পুলিশকে জানায়, আগের দিন মাধরাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাদের উপর হামলা চালায়। সম্প্রতি আড়াই বিঘা জমি নিয়ে তার সঙ্গে এলাকার সুকলাল সাহার ঝামেলা চলছিল। দুষ্কৃতীরা তাকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করাতে চাইছিল। তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল সেই মামলা। কিন্তু তার স্ত্রী সেই সাদা কাগজ ছিঁড়ে ফেলায় পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর। এই ঘটনার প্রতিবাদে সে এলাকার বাসিন্দা ভবেশ মহালদার সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে উঠে আসে অন্য তথ্য৷ গত ২৭ ডিসেম্বর পুলিশ খুশবুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পায়৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১২ নভেম্বর রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে খুশবুকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল৷ তার অন্তত দু’ঘণ্টা পর তাঁকে কোপানো হয়৷ এরপরেই পুলিশি তদন্তের অভিমুখ অন্যদিকে ঘুরে যায়৷ জানা যায়, সনাতনের সঙ্গে তার শ্যালিকার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে৷ অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে, সেই সম্পর্ক নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা হত সনাতনের৷ এরপরেই পুলিশ এদিন সকালে সনাতনকে গ্রেফতার করে৷ যদিও এখনও সনাতনের দাবি, সে খুশবুকে খুন করেনি৷ জমি বিবাদের জেরে দুষ্কৃতীরাই তার স্ত্রীকে খুন করেছে৷

এদিকে অভিযুক্ত ভবেশ মহালদারের স্ত্রী জ্যোতিনা মহালদার বলেন, তিনি নিশ্চিত, সনাতনই তার স্ত্রীকে খুন খুন করেছে৷ সেই ঘটনার দায় সে তাঁর স্বামীর উপর চাপিয়ে দিয়েছে৷ পুলিশ সেদিন কোনও কথা না বলে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়৷ এই ঘটনার সঙ্গে জমি বিবাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন তিনি৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন



বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page