অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ছুরি দেখিয়ে ধর্ষণ, অভিযোগে বাধা তৃণমূলের মাতব্বরদের
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে চাকু দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে স্থানীয় তৃণমূলের মাতব্বরদের হুমকি। অবশেষে নির্যাতিতা কিশোরীর মা গোপনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের খবর পেয়েই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে।
নির্যাতিতা কিশোরী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বাবা দিনমজুর। অভিযোগ, গত ১১ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত যুবকের দিদি ওই কিশোরীকে ডেকে বাড়িতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর অভিযুক্ত যুবকের দিদি দিদার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বেড়িয়ে যায়। সেই সময় কিশোরীকে একা পেয়ে ছুরি দেখিয়ে ধর্ষণ করে ওই যুবক। বিষয়টি জানালে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় সে। এরপর কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে ওই কিশোরী। এদিকে, ওই কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপরেই বিষয়টি জানতে পারেন পরিবারের লোকজন। পরিবারের লোকজন বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে এলাকা প্রভাবশালী তৃণমূলের মাতব্বররা গ্রামেই সালিশি করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার হুমকি দেন। গ্রামে একঘরে করে নজরদারি চালানো হয় তাঁদের ওপর। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তার মা গোপনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত যুবক।
নির্যাতিতা ওই কিশোরী জানায়, অভিযুক্ত ছেলেটির দিদি তাকে ডেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। তাকে বাড়িতে বসতে বলে সে দিদার বাড়ি চলে যায়। একা পেয়ে ওই মেয়েটির ভাই ছুরি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানালে প্রাণে মারার হুমকিও দেয়।
কিশোরীর বাবা বলেন, হুমকির ভয়ে প্রথমে কাউকে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযুক্ত যুবক তৃণমূলের নেতাদের ঘনিষ্ঠ। অসহায়তার সুযোগ নিয়ে এলাকার কিছু ব্যক্তি তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।
[ আরও খবরঃ মেলেনি কোনও সাহায্য, পাঁচ বছর ধরে শিকলবন্দি যুবক ]
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশি তল্লাশি জারি রয়েছে।
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্বু রহমান বলেন, ওই বুথে সকলেই বিজেপি। তৃণমূলের নাম করে দোষীরা বাঁচতে চাইছে। এধরণের জঘন্য অপরাধকে তৃণমূল কখনও প্রশ্রয় দেয় না। তৃণমূলের বদনাম করতে এসব ষড়যন্ত্র। দলের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক কিষান কেডিয়া জানান, এলাকায় মেয়েদের কোনও সুরক্ষা নেই। শাসকদল এখন ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি করছে। গ্রামপঞ্চায়েত, জেলাপরিষদ থেকে সবাই তৃণমূলের। শাসকদল এখন বিজেপিকে দোষারোপ করে দায়ভার এড়াচ্ছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments