বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে, পরিণতি ভয়ানক
top of page

বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে, পরিণতি ভয়ানক

প্রেমিকাকে বিয়ে করে বছর সতেরোর এক কিশোর। এরপর মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। মানসিক অবসাদে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল কিশোর। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত কিশোরের নাম অঙ্কুর সাহা (১৭)। সে এবছর বিভূতিভূষণ হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে। বাড়ি ইংরেজবাজারের কুলিপাড়ায়। বাবা গৌতম সাহার এলাকায় একটি দরজির দোকান আছে।



পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে পালিয়ে এক কিশোরীকে বিয়ে করেছিল অঙ্কুর। এরপরেই কিশোরীর পরিবারের লোকজন ইংরেজবাজার থানায় অঙ্কুরের বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। এদিকে, ছেলের মিসিং ডায়রি করতে গৌতমবাবু থানায় গেলে পুলিশ গৌতমবাবুকে আটক করে। বাবাকে আটক করার ঘটনা জানতে পেরে কিশোরীকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে অঙ্কুর। রাতেই ওই কিশোরীকে নিয়ে থানায় যায় অঙ্কুর। পুলিশকে তাদের বিয়ের কথা জানায়। কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের সরকারি হোমে পাঠানোর কথা জানায় পুলিশ। পরের দিন সন্ধেয় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে অঙ্কুর।


অঙ্কুরের দাদা জানায়, মেয়ের মা অঙ্কুরদের প্রেমের সম্পর্ক জানত৷ একাধিকবার অঙ্কুরকে নিয়ে মেলাতেও গিয়েছিল। অথচ তারা পালিয়ে বিয়ে করলে, অঙ্কুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি৷ অভিযোগের পর তাঁদের বাবাকে আটক করে পুলিশ। সমস্ত ঘটনায় মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছে অঙ্কুর।


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page