কার্তিক সংক্রান্তিতে রক্ষাকালী পুজোয় ভক্তদের ভিড়
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- 2h
- 1 min read
প্রায় তিনশো বছর ধরে চলে আসছে চাঁচলরাজ প্রতিষ্ঠিত রক্ষাকালী পুজো৷ রীতি মেনে সোমবার সুকান্তপল্লি জেলেপাড়ায় পূজিত হয়েছেন দেবী। এই পুজোয় মাছের অন্নভোগ দেবীকে সমর্পণ করা হয়৷ ভোগের মাছ আসে দেবীর বেদির সামনে থাকা রানিদিঘি থেকে৷ এবছর এই পুজো দেখতে মানুষের ভিড় ছিল লক্ষ্মণীয়।
প্রায় তিনশো বছর আগে চাঁচলের রাজা ছিলেন প্রবল প্রতাপশালী ঈশ্বরচন্দ্র রায়চৌধুরী৷ বিহার-বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা তাঁর রাজত্বের অধীনে ছিল৷ তাঁর রাজত্বকালে চাঁচল সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ মড়ক শুরু হয়। গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হতে থাকে। প্রাণ ভয়ে মানুষ পালাতে শুরু করেন। সেই সময় নাকি স্বপ্নাদেশ পেয়ে কার্তিক সংক্রান্তিতে রক্ষাকালী পুজো করেন রাজা। তারপরেই মহামারি শেষ হয়। সেই সময় এখনও রীতি মেনে কার্তিক সংক্রান্তি তিথিতে এই পুজো হয়ে আসছে।
পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ জয়দেব ঘোষ জানান, পুজোয় মায়ের প্রধান প্রসাদী হল মাছ৷ ছোট থেকে এই প্রথাই দেখে এসেছি৷ মায়ের বেদির সামনে থাকা পুকুর থেকেই ভোগের মাছ সংগ্রহ করা হয়৷ কোনও কারণে পুকুর থেকে পুরো মাত্রায় মাছ না পাওয়া গেলে বাইরে থেকে সংগ্রহ করা হয় বটে, কিন্তু এই পুকুরের একটি মাছ অন্তত লাগবেই।

পুজো কমিটির সভাপতি গোপালচন্দ্র প্রামাণিক জানান, প্রায় তিনশো বছর আগে চাঁচলে মহামারী দেখা দিয়েছিল৷ সেই সময় স্বপ্নাদেশ পেয়ে রাজা ঈশ্বরচন্দ্র রায়চৌধুরী এই পুজোর আয়োজন করেছিলেন৷ এখানে মায়ের ভোগের জন্য মাছ রান্না করতেই হবে৷ মাছের সঙ্গে সাতরকম ভাজা, সবজি, খিচুড়ি আর পায়েস ভোগ দিতে হয়৷
স্থানীয় বাসিন্দা কৌশিক সরকার বলেন, ছোটো থেকেই এই পুজো দেখে আসছি। দিনের পর দিন এখানে পুজো দিতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। এবছরও প্রচুর মানুষ পুজো দিতে ও প্রসাদ গ্রহণ করতে এসেছিলেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments