বাঁকা চাঁদ আকাশে, চুপি চুপি বাঁশি বাজে বাতাসে
top of page

বাঁকা চাঁদ আকাশে, চুপি চুপি বাঁশি বাজে বাতাসে

মালদার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো মণ্ডপ শিবাজি সংঘ। এবছর ৪৭তম বর্ষে পা দিতে চলেছে ইংরেজবাজার এলাকার বুড়াবুড়িতলার এই পুজো। নারী শক্তি, বৃহৎ শক্তি। অশুভ শক্তিকে দমন করে শুভ শক্তির উদয় ঘটায় এই নারী সমাজই, গতবছর এই থিমকে তুলে ধরে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এদের শিল্পীরা। আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা বাজেটের এই পুজো ‘সুরের আকাশে’ থিমকে কেন্দ্র করে এবছর বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার তুলে ধরছে মণ্ডপে।



বাঁশের কাঠামোর উপরে প্লাই দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মণ্ডপ৷ ভিতরে ও বাইরে সাজানো থাকবে নানা রকমের বাদ্যযন্ত্র। ঢাক-ঢোল, মৃদঙ্গ-খোল, বীণা-সেতার, তবলা আরও অনেক কিছু। যা লোহা, কাঠ, বেত, প্লাইউড-সহ নানা সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি ছোটো থেকে বড়ো নানা আকৃতির বাদ্যযন্ত্র৷ শিল্পীরা কয়েক মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে মণ্ডপে তুলে ধরছেন অজানা কিছু বাদ্যযন্ত্রও। যেসব বাদ্যযন্ত্রের নাম জানেন না অনেকেই, সেই সমস্ত বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গেও পরিচয় করাতে চলেছে এই পুজো কমিটি। মণ্ডপে থাকছে ভীষণ এক রণাঙ্গনে মূর্ত দেবী দুর্গা, সাথে মৃৎশিল্পী দিব্যেন্দু সাহার আধুনিক ভাবনার প্রকাশ।


এক ঝলকে গোটা প্যান্ডেলকে দেখে মনে হবে একটা আস্ত গিটার

‘পুজো এলো রে’ টিমকে এই পুজো কমিটির উদ্যোক্তা হেমাঙ্গমোহন সরকার বলেন যে, আমরা প্রতি বছরই ক্লাবের সকলে মিলে পুজোর থিম অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করা শুরু করি। তারপর ধীরে ধীরে তা বাস্তবে তুলে ধরে দর্শকদের মন জয় করার চেষ্টা করি। এবছর ‘সুরের আকাশে’ থিম সামনে রেখে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার তুলে ধরছি মণ্ডপে। মণ্ডপের যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই দেখতে পাবেন শুধু নানাধরনের বাদ্যযন্ত্র। বিশালায়তনের একটি তবলা থাকবে সামনের দিকে। এক ঝলকে গোটা প্যান্ডেলকে দেখে মনে হবে একটা আস্ত গিটার। গত কয়েক বছর ধরেই অন্য রকম থিমের জন্য দর্শকদের মন জয় করে চলেছে আমাদের ক্লাবের পুজো৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই দাবি তাঁদের। এছাড়াও এবছরে থাকছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা, যা বিশেষ নজর কাড়বে দর্শনার্থীদের। শিল্পের কারসাজিতে চাঁদের আলোয় গা ভাসাবে এলাকার রাজপথ। সাক্ষী থাকবে ঐতিহাসিক চন্দ্রযান টু।

উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস, সকল মানুষের মন জয় করবে শিবাজি সংঘের থিম পুজো ‘সুরের আকাশে’। তবে এবছর সেরা হওয়ার দৌড়ে কতখানি এগিয়ে থাকছে তা বলার অপেক্ষা আর মাত্র কিছুদিনের।

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page