top of page

বেআইনিভাবে পাট্টা বিলির অভিযোগে দপ্তর ঘেরাও জনপ্রতিনিধিদের

সাধারণ মানুষের পর এবার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের বিরুদ্ধে জমি বেহাত করার অভিযোগ তুলেছেন শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা। এমনকি রাত অনেক হলেও বিক্ষোভ চলতে থাকায় ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে হয় বিডিওকে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর চত্বরে।


জমির পাট্টা বিলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে আসছে। শাসকদলের অভিযোগ, ২০২৩ সাল থেকে পাট্টা প্রদান নিয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এবং পঞ্চায়েত সমিতির স্থানীয় সমিতি একটিও সভা করেনি। জনপ্রতিনিধিরা পাট্টা বিলি নিয়ে দাবি করেছিলেন, এলাকায় যারা যোগ্য তাদেরই সরকারি জমির পাট্টা দিতে হবে। দপ্তরের কর্মীদের এলাকায় ঘুরে ঘুরে যোগ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু তা না হয়ে বেআইনিভাবে পাট্টা বিলি হচ্ছে বলে অভিযোগ। এসব নিয়ে বারবার বলা হলেও কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়ে সোমবার বিকেল থেকে দপ্তরের মূল গেটের সামনে ধর্নায় বসেন শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতি প্রতিনিধি সহ অন্য সদস্যরা।


ধরনায় উপস্থিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির প্রতিনিধি মহম্মদ মণিরুল আলম জানান, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সরকারি জায়গা ব্যক্তিগত নামে রেকর্ড করে দিচ্ছেন। একজনের জমি আরেকজনের নামে রেকর্ড করছেন৷ কারও নামে কোনও জমি রেকর্ড করতে গেলে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার ভুল করছেন৷ যাতে সেই ভুল ঠিক করার নামে ফের টাকা হাতানো যায়। আমরা বারবার এসব নিয়ে অভিযোগ করেছি৷ কিন্তু লাভ হয়নি। দপ্তরে স্বচ্ছতার দাবিতে দপ্তরের সামনে ধর্নায় বসেছি।


ree

পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ নজিবুর রহমান জানান, এখানে টাকা ছাড়া কোনও কাজ হচ্ছে না। সমস্ত কাজ হচ্ছে দালালের মাধ্যমে৷ গঙ্গা ভাঙন সহ বিভিন্ন কারণে ভূমিহীনদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু যোগ্যদের বঞ্চিত করে টাকার বিনিময়ে অন্যদের সরকারি জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে৷ এর প্রতিবাদে আমরা ধর্নায় বসেছি৷ বিডিও আমাদের তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন৷


যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুরজিৎ দাস। তাঁর দাবি, সরকারি সমস্ত নিয়ম মেনেই পাট্টা দেওয়া হয়েছে৷ আসলে এসব করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে৷ অভিযোগের কোনও প্রমাণ থাকলে তা ওনারা সামনে আনুক।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page