আবাস যোজনা নিয়ে বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ
আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক অভিযোগে প্রশাসনিক কর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। আশ্বাসও মিলেছিল। তবে সার্ভের তালিকা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন উপভোক্তারা। অবশেষে সোমবার ব্লক অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বঞ্চিত মানুষরা। বিক্ষোভের আঁচ বুঝতে পেরে বাইরে এসে কথা বলেন বিডিও।
সারা রাজ্যের পাশাপাশি রতুয়া ১ ব্লকেও আবাস যোজনার সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে। সেই সার্ভে তালিকা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন উপভোক্তারা। অভিযোগ, যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের নাম তালিকায় রয়েছে, অথচ যাদের কাঁচা বাড়ি তাঁদের নাম তালিকায় নেই। সোমবার বঞ্চিত গ্রামবাসীরা বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দপ্তরের কর্মীরা বুঝিয়ে বিক্ষোভ তোলার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি। অবশেষে বিডিও নিজে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
সফিকুল ইসলাম নামে এক বিক্ষোভকারী জানান, ২০১৭ সালের বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় আমার বাবার নাম ছিল৷ পরে তালিকা থেকে বাবার নাম কেটে দেওয়া হয়৷ আমি ২০১৭ সালের পুরোনো তালিকা খুঁজে পেয়েছি৷ ব্লক প্রশাসনকেও পুরো বিষয় জানিয়েছি৷ কিন্তু এখনও তালিকায় বাবার নাম ওঠেনি৷ এলাকার অনেক মানুষের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। গ্রামে এখনও প্রায় ৪০টি কাঁচা বাড়ি আছে৷ সবাই গরিব৷ কেউ পঞ্চায়েত সদস্য কিংবা প্রধানকে টাকা দিতে পারেনি৷ তাই আবাস যোজনার তালিকা থেকে তাদের নাম কেটে যাচ্ছে৷
মহম্মদ কাউসার আলি নামে আরেক উপভোক্তা জানান, যাদের পাকা ছাদের বাড়ি রয়েছে, তাদের নাম আবাস প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে৷ অথচ যাদের কাঁচা বাড়ি তাঁদের নাম তালিকায় নেই। কাটমানি না দিতে পারার জন্যই তালিকা থেকে নাম কেটে যাচ্ছে। আজ বিডিও লিখিতভাবে সব জমা দিতে বলেছেন৷
ঘটনা প্রসঙ্গে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো বলেন, যাঁদের কাঁচা বাড়ি অথচ আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকায় নাম নেই, তাঁদের সবাইকে ব্লক অফিসে লিখিত আবেদন করতে হবে৷ লিখিত আবেদন পেলেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments