top of page

সরকারের বিলি করা প্রসাদ প্রত্যাখান প্রাথমিক শিক্ষকের

দিঘায় নির্মিত জগন্নাথদেবের মন্দিরের প্রসাদ সরকারিভাবে বিতরণ করা চলছে। যদিও বিলি করা সামগ্রীকে প্রসাদ বলে মানতে রাজি নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এনিয়ে শাসক-বিরোধী বাকযুদ্ধ লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে এই প্রসাদ প্রত্যাখ্যান করলেন পুরাতন মালদার প্রাথমিক শিক্ষক। এমনকি রাজ্য সরকারের এই কাজকে সংবিধান বিরোধী বলেও দাবি করেছেন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে পুরাতন মালদায়।


পুরাতন মালদা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাচামারি কলোনির বাসিন্দা প্রত্যুষ গুহ। তিনি প্রাথমিকের শিক্ষক। প্রত্যুষবাবুর দাবি, আমরা যে টাকা কর হিসাবে দিই, সেটা সরকারের ঘরে জমা পড়ে৷ দেশের সংবিধান বলছে, সরকারি টাকায় কোনওরকম ধর্মচর্চা করা যাবে না৷ এই টাকায় মন্দির বা মসজিদ যেমন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না, তেমনই মন্দিরের প্রসাদও সরকারি টাকা ও পৃষ্ঠপোষকতায় বিলি করা যাবে না৷ রাজ্য সরকারের এই কাজকে আমার অবৈধ এবং বেআইনি মনে হয়েছে৷ সেই কারণে আমি প্রসাদ প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ জানিয়েছি৷ এই প্রসাদ বিলি করার পিছনে ভোটের রাজনীতিও রয়েছে।


পুরাতন মালদার বিজেপি বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা জানান, এটা জগন্নাথদেবের প্রসাদ নয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও দোকানে মিষ্টি তৈরি করিয়ে বাড়ি বাড়ি বিতরণ করছেন৷ পুজো করার পর প্রসাদ হয়৷ উনি কোথায় পুজো করছেন? আসলে তৃণমূল দেখছে, তাদের পাশ থেকে হিন্দু ভোট সরে যাচ্ছে৷ তাই হিন্দু ভোট পেতে তিনি এই ভণ্ডামি করছেন৷ এই প্রসাদ প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমি ওই ব্যক্তিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি৷

ree

এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পুরাতন মালদা পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ জানান, গত ৩০ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় সমুদ্রের ধারে জগন্নাথদেবের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ সেখানে প্রতিদিন ইসকনের পুরোহিতরা জগন্নাথদেবের পুজো করেন৷ রাজ্য সরকার রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে জগন্নাথদেবের প্রসাদ রেশন দোকানের মাধ্যমে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ সেই কাজ শুরুও হয়েছে৷ যাঁদের ভক্তি, শ্রদ্ধা রয়েছে, তারা এই প্রসাদ গ্রহণ করছেন৷ অনিচ্ছুকদের জোর করে প্রসাদ দেওয়ার বিষয়ে সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি৷ বিরোধীরা এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। মানুষ এর জবাব দেবে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page