বিরোধীদের সমর্থনে রতুয়ায় অপসারিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি
top of page

বিরোধীদের সমর্থনে রতুয়ায় অপসারিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

কালিয়াচক-২ ব্লকের পর রতুয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধীদের সমর্থনে সভাপতিকে অপসারণ করলেন তৃণমূলের সদস্যরা। গতকালই জেলা সভাপতি বলেছিলেন দলের অনুমতি ছাড়া কারো বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে অপসারণ করা যাবে না। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগেই রতুয়ায় অপসারিত হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।


উল্লেখ্য, গতকাল দলীয় বৈঠকে আব্দুর রহিম বকশি জানিয়েছিলেন, দলের অনুমতি ছাড়া বিরোধীদের সমর্থনে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে অপসারণ করা যাবে না। দলের অনুমতি ছাড়া কেউ এই কাজ করলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগেই রতুয়ায় অপসারিত হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।



গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির ২৬টি আসন দখল করে তৃণমূল। তিনটি বাম-কংগ্রেস জোট ও একটি আসন দখলে যায় নির্দল প্রার্থীর। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ জন তৃণমূল সদস্য দল থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন শেখ ইয়াসিনের হাত ধরে বিজেপির পতাকা তুলে নেন। চার মাস আগে পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী আবিদা বেগমের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকা হয়। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অনুমান, এই অনাস্থার পিছনে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান, রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ হেসামুদ্দিনের হাত রয়েছে।




জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বকশি জানান, যারা অন্য দলের সদস্যদের সাহায্য নিয়ে দলীয় পঞ্চায়েত প্রধান কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। গতকাল দলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রতুয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অপসারণের বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page