মালদায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, হইচই জেলার রাজনৈতিক মহলে
২০ জানুয়ারি মালদায় পা রাখতে চলেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পরদিন জেলা ক্রীড়া সংস্থার ময়দানে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস, উদবোধন ও সরকারি সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফরের খবর পেতেই জেলা প্রশাসনিক মহলে ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, মালদা জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক খুনের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী। বিশেষত তাঁর ‘সহযোদ্ধা’ দুলাল সরকারকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তা মেনে নিতে পারছেন না রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই জেলা পুলিশ সুপারকে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তী সময়ে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের থেকে জেলা পুলিশের ভালো কাজের কথা উঠে এসেছে। তবে কি মালদা জেলায় দাঁড়িয়েই জেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশ স্তরে রদবদল ঘোষণার সম্ভবনা রয়েছে? নাকি দলীয় পদে বদল আনতে চলেছেন তিনি? আপাতত জেলা জুড়ে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ জানুয়ারি হেলিকপ্টারে করে মালদায় আসার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। হেলিপ্যাড থেকে তিনি পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়িতে অবস্থিত মহানন্দাভবনে উঠবেন। সেখানে রাত্রিবাস করে পরদিন জেলা ক্রীড়া সংস্থার ময়দানে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস, উদবোধন এবং সরকারি সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ইতিমধ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ময়দানে হ্যাঙার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যুব আবাস সংলগ্ন ময়দানে চলছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরির কাজও।

জেলা রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নিহত দুলাল সরকারের বাড়িতে যেতে পারেন। তবে নিরাপত্তার কারণে হয়তো দুলালবাবুর স্ত্রীকেই ডেকে নেওয়া হতে পারে। অনেকের মুখেই আবার চৈতালি ঘোষ সরকারকে দলীয় পদ দেওয়ার কথাও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে আদতে কি ঘটবে তা জানা যাবে রাজ্যের প্রশাসনিকপ্রধানের মালদায় পা রাখার পরেই।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Kommentarer