দুর্গাপুজোর বায়না নেই তবু প্রতিমা গড়ছেন পটুয়া
top of page

দুর্গাপুজোর বায়না নেই তবু প্রতিমা গড়ছেন পটুয়া

আর মাত্র ১৩৩ দিন, তারপরেই দুর্গাপুজো। এই সময়টা প্রতিমা তৈরি ও পুজো উদ্যোক্তাদের থেকে বায়না নেওয়ায় ব্যস্ত থাকার কথা পালপাড়ার মৃৎশিল্পীদের। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের থাবায় সবকিছু একদম এলোমেলো হয়ে গেছে। প্রতিমা বাতিলের হিড়িক পড়ে গেছে পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে।



লকডাউনের প্রভাব পড়েছে মৃৎশিল্পীদের ওপরও। অন্যান্য বছর এই সময় মৃৎশিল্পীদের দুর্গাপুজোর বায়না আসলেও এবছর এখনও পর্যন্ত কোনও বায়না হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ঋণ নিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন মৃৎশিল্পীরা। তবে আদৌ সেই প্রতিমাগুলি মণ্ডপে পৌঁছবে কিনা তা জানা নেই কারোর। পেটের টানে ঝুঁকি নিয়েই কাজ শুরু করেছেন মৃৎশিল্পীরা।




হবিবপুর থানার অন্তর্গত বুলবুলচণ্ডী কুমারটুলির প্রতিমা শিল্পী উত্তমকুমার পাল বলেন, লকডাউনে ধর্মীয় স্থানে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বেশ কিছু পুজো কমিটি নিজেরাই পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফলে এবছর বাসন্তী, শিব, হনুমান, গণেশ, লক্ষ্মী সহ বিভিন্ন প্রতিমা ঘরেই থেকে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে চলবে তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। বাধ্য হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। এদিকে, অন্যান্য বছর এই সময় দুর্গা প্রতিমার কাজ শুরু হয়ে যায়। এবছর দুর্গাপুজো কি হবে জানা নেই। তবে এখন থেকেই কাজ শুরু না করলে সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে না। বাধ্য হয়ে ঋণ নিয়েই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও পুজো কমিটি কাজের অর্ডার দেয়নি। আদৌ প্রতিমা বিক্রি হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত রয়েছি। প্রতিমা ঘরে থেকে গেলে ঋণ মাথায় অনাহারে মরতে হবে।




টপিকঃ #মৃৎশিল্পী #দুর্গাপুজো

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page