বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য এক লরি পোশাক!
top of page

বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য এক লরি পোশাক!

পুরাতন মালদার নারায়ণপুরে একটি হোটেলে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী লরি ভর্তি পোশাক দলের জেলা নেতাদের হাতে তুলে দিলেন৷ মালদার বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য এই পোশাকগুলি। যদিও এনিয়ে দুর্গত মানুষদের মধ্যে প্রশ্নও রয়েছে৷ পুজোর আগে কয়েক লক্ষ দুর্গত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এক লরি পোশাক কতটা কাজে দেবে তা নিয়েই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন৷ গতকাল জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে এসেছিলেন তিনি। যদিও এনিয়ে দুর্গত মানুষদের মধ্যে প্রশ্নও রয়েছে৷ পুজোর আগে কয়েক লক্ষ দুর্গত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এক লরি পোশাক কতটা কাজে দেবে তা নিয়েই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন৷


পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসছে৷ এরই মধ্যে গিয়েছে বন্যা, এসেছে উৎসব মরশুম৷ বন্যা পরবর্তী সময়ে দলীয় কর্মসূচি এবং উৎসব মরশুমে দলের নেতা-কর্মীদের কাজ বুঝিয়ে দিতে গতকাল রাতেই মালদায় আসেন তৃণমূলের এই জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী৷ রাতে তিনি পুরাতন মালদার নারায়ণপুরে একটি হোটেলে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ সেই বৈঠকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের রণকৌশল নিয়েও আলোচনা হয়৷ তবে সেই বৈঠক প্রসঙ্গে কিছু বলতে রাজি হননি শুভেন্দুবাবু৷ মালদা জেলার দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও কিছু বলবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি৷


বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য এক লরি পোশাক!

এদিন সকালেও দলের মালদা জেলা সভাপতি সহ শীর্ষস্তরের একাধিক নেতা এবং জেলা পরিষদের দলীয় সদস্যদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেন শুভেন্দুবাবু৷ এরপর তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এক লরি পোশাক দলীয় নেতৃত্বের হাতে তুলে দেন৷ বলেন, এবারের বন্যায় মালদা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল৷ বন্যার জল সরে যেতেই পুজো চলে এসেছে৷ কিন্তু বিধ্বস্ত মানুষের এখন নতুন পোশাক কেনার ক্ষমতা নেই৷ পুজোর সময় বন্যাদুর্গত মানুষজন যাতে নতুন বস্ত্র পরতে পারেন, তার জন্য সবাইকে না পারলেও কয়েক হাজার বস্ত্র এদিন তাঁরা দলের জেলা নেতাদের হাতে তুলে দিলেন৷ সেই বস্ত্র তাঁরা প্রকৃত দুর্গতদের হাতে তুলে দেবেন৷ কিন্তু কয়েক লক্ষ দুর্গত মানুষের মধ্যে মাত্র কয়েক হাজার কেন? রাজনৈতিক এই প্রশ্ন শুনেই বিচক্ষণ শুভেন্দুবাবু বলে ওঠেন, সবাই মিলেই দুর্গত মানুষজনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে৷ রাজ্য সরকার যা করার করছে৷ দলের পক্ষ থেকেও কাজ চলছে৷ বিধায়করা সরকারের কাছ থেকে নতুন বস্ত্র পেয়েছেন৷ তাঁরা প্রত্যেকে সেই বস্ত্র দুর্গতদের হাতে তুলে দিচ্ছেন৷ এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন, ব্যবসায়ী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, এমনকি সাংবাদিকরাও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷

বন্যার পর দুর্গত এলাকা পুনর্গঠনে কী কাজ হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে যা কাজ করার করছেন৷ কিছু পদ্ধতি মেনে এই কাজ করতে হয়৷ সেই কাজ চলছে৷ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু প্রভৃতির তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷ এই সরকার সংবেদনশীল৷ আর সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতো প্লেনে বা হেলিকপ্টারে চেপে বন্যা পরিদর্শন করেন না৷ তিনি জলে নেমে বন্যা দেখেছেন, আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ সবাই নিশ্চিত থাকতে পারেন, মানুষের ন্যুনতম প্রয়োজনীয়তা সরকার দ্রুত পূরণ করবে৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page