গুলবাহারদের পাশে থেকে লড়ার প্রতিশ্রুতি অধীরের
top of page

গুলবাহারদের পাশে থেকে লড়ার প্রতিশ্রুতি অধীরের

তৃণমূলকে জায়গা দিতে যেন নারাজ কংগ্রেস৷ গত পরশু থেকেই রাজস্থানে নিহত আফরাজুলের বাড়িতে কার্যত ঘাঁটি গেড়েছেন মোথাবাড়ির কংগ্রেসি সাংসদ সাবিনা ইয়াসমিন৷ গতকাল সেখানে যান জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব৷


গুলবাহারদের পাশে থেকে লড়ার প্রতিশ্রুতি অধীরের

কোনও আর্থিক সাহায্য নয়, অর্থের প্রতিশ্রুতিও নয়৷ আফরাজুলের পরিবারের পাশে থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি৷ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে গুলবাহার ও তাঁর তিন মেয়েকে জানালেন, সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর তাঁদের লড়াই যেন সবাই দেখেন৷ কিছুটা সময় থেকে সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ৷ সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, বর্তমানে কেন্দ্রে যে সরকার রয়েছে, তাদের প্রশ্রয়ে গোটা দেশে এক সাম্প্রদায়িক বাতাবরণ তৈরি হয়েছে৷ আফরাজুলের খুনের ঘটনায় যে লাভ জেহাদের কথা বলা হচ্ছে, তা বিজেপির তত্ত্ব৷ এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই৷ শুধু রাজস্থান নয়, বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যেও একই ধরণের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে৷ এখন দেশ জুড়ে মানুষকে গোরু-ছাগলের মতো খুন হতে হচ্ছে৷ এটা কোনও সভ্য দেশের আইন হতে পারে না৷ আফরাজুলের ঘটনা নিয়ে তিনি এর মধ্যেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন৷ তিনি তাঁদের একটাই দাবি জানাচ্ছেন, গোটা দেশ চাইছে, খুনির কঠোরতম শাস্তি হোক৷ প্রয়োজনে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানাবেন৷ রাজ্যের জন্য তাঁর পরামর্শ, এই রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিন রাজ্যে কাজে যান৷ প্রতিটি রাজ্যে এই রাজ্যের মানুষের উপর অত্যাচার হচ্ছে৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে চান, তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলুন৷ অধীরবাবু আরও দাবি করেন, দেশের প্রতিটি রাজ্যে এই রাজ্যের সরকার লিয়াঁজো অফিসার নিয়োগ করুক৷ তাতে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া মানুষের সমস্যা কমবে৷ তবে তাঁরা এখন রাজ্য বা কেন্দ্র, কোথাও ক্ষমতায় নেই৷ তাই নিহত আফরাজুলের পরিবারকে কোনও আর্থিক সাহায্য করার কথা ঘোষণা করছেন না৷ কিন্তু তাঁরা এই ঘটনায় আদালতের পরিচালনায় তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছেন৷

এসব কথা জানিয়ে সৈয়দপুর গ্রাম থেকে বিদায় নেন অধীরবাবু৷ কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের সমস্ত বার্তায় উঠেছে একাধিক প্রশ্ন৷ বেঁচে থাকাকালীন আফরাজুল সংসারের গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা করতেই ব্যস্ত ছিলেন৷ রাজনীতি করার সময় ছিল না তাঁর৷ কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর আমূল বদলে গিয়েছে ছবিটা৷ রাজনীতিতে তিনি এখন কতটা দামি, কবরের নীচে থেকে তা কি জানতে পারছেন আফরাজুল? জানছে তাঁর পরিবার, জানছে গোটা সৈয়দপুর৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page